নির্যাতন-টাকা দাবি /

ওসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের মামলার নির্দেশ

মো: ইব্রাহিম জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর
ওসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের মামলার নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধীকে ধরে এনে থানায় নির্যাতন ও টাকা দাবির অভিযোগে পুলিশের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অভিযুক্তরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন, শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুয়েল। লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফকে এ মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারকে ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৮ এর ২০০ ধারায় এবং নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ৪(১) অনুযায়ী অভিযোগটি লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় গত ৩ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে প্রতিবন্ধী আরিফ হোসেনকে অমানবিক নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। তারা আইনের তোয়াক্কা না করে আরিফকে আটকে রাখে। পরদিন বাদী তার ছেলেকে থানায় দেখতে যান। এ সময় বাদীর সামনেই তার ছেলেকে অভিযুক্ত এসআই জুয়েল অমানবিক নির্যাতন করেন। আটক আরিফকে ফেরত নিতে গেলে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে অভিযুক্তরা জানিয়ে দেন। অভিযোগকারী নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৩(১) ও (২) ধারায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। যা একই আইনের ১০(১) ধারা অনুযায়ী আমলযোগ্য অপরাধ। অভিযোগের ধরন, গুরুত্ব ও আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ধারা ৫ (১), ৯ এবং পুলিশ রেগুলেশন বেঙ্গল, ১৯৪৩ এর ২৪৫ (ক) প্রবিধান এবং ক্রিমিনাল প্রসিকিউর কোড, ১৮৯৮ এর ১৫৬ (৩) নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।

মামলার বাদী দেলোয়ার বেগম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসলামুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী। অভিযোগে তিনি বলেন, জমি নিয়ে খোকন প্রফেসরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে খোকন বিভিন্ন লোক দিয়ে আমার ছেলেদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। গত ৩ জুলাই বিকেলে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে আরিফকে পুলিশের এসআই জুয়েল ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থানায় নিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তাকে ফেরত আনতে হলে টাকা দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি কি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফকে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ওসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের মামলার নির্দেশ

ওসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতের মামলার নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধীকে ধরে এনে থানায় নির্যাতন ও টাকা দাবির অভিযোগে পুলিশের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অভিযুক্তরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন, শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুয়েল। লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফকে এ মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারকে ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৮ এর ২০০ ধারায় এবং নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ৪(১) অনুযায়ী অভিযোগটি লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় গত ৩ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে প্রতিবন্ধী আরিফ হোসেনকে অমানবিক নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। তারা আইনের তোয়াক্কা না করে আরিফকে আটকে রাখে। পরদিন বাদী তার ছেলেকে থানায় দেখতে যান। এ সময় বাদীর সামনেই তার ছেলেকে অভিযুক্ত এসআই জুয়েল অমানবিক নির্যাতন করেন। আটক আরিফকে ফেরত নিতে গেলে ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে অভিযুক্তরা জানিয়ে দেন। অভিযোগকারী নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৩(১) ও (২) ধারায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। যা একই আইনের ১০(১) ধারা অনুযায়ী আমলযোগ্য অপরাধ। অভিযোগের ধরন, গুরুত্ব ও আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ধারা ৫ (১), ৯ এবং পুলিশ রেগুলেশন বেঙ্গল, ১৯৪৩ এর ২৪৫ (ক) প্রবিধান এবং ক্রিমিনাল প্রসিকিউর কোড, ১৮৯৮ এর ১৫৬ (৩) নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।

মামলার বাদী দেলোয়ার বেগম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসলামুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী। অভিযোগে তিনি বলেন, জমি নিয়ে খোকন প্রফেসরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে খোকন বিভিন্ন লোক দিয়ে আমার ছেলেদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। গত ৩ জুলাই বিকেলে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে আরিফকে পুলিশের এসআই জুয়েল ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থানায় নিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তাকে ফেরত আনতে হলে টাকা দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি কি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফকে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত