স্বেচ্ছাসেবকলীগে অযোগ্যরাই পদপ্রত্যাশী!

মিন্টু মিয়া জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
স্বেচ্ছাসেবকলীগে অযোগ্যরাই পদপ্রত্যাশী!

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন রাজাকারের ভাতিজাসহ একাধিক মামলার আসামি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নটির অন্যান্য প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনে কোন রাজাকারের বংশধর কিংবা সন্ত্রাসীরা যেন ঠাঁই না পান।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সূত্রে জানা যায়, গত (৬ মে) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি বিলুপ্তকরে সম্মেলন প্রস্তুতির কমিটির অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ। এতে সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক -লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ.এইচ.এম সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং কাজী জিয়াউল হক শুভ্রকে সদস্য সচিব করা হয়।

এ অবস্থায় গত ২৩ জুন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা তাঁদের জীবন বৃত্তান্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতির কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে জমা দেন।

জানা যায়, এতে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন রাজাকার আবুল হাসেমের ভাতিজা এমরান হোসেন বিল্লাল। এ ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন একাধিক মামলার আসামি কামরুজ্জামান মানিক। তাঁরা দু’জন প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য ত্যাগী নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের একাধিক নেতা বলেন ‘ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামের বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়। সেখানে যেন কোন রাজাকারের বংশধর কিংবা সন্ত্রাসীদের জায়গা না হয়’।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য সামী উসমান গণি বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি চাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটিতে কোন রাজাকারের বংশধর কিংবা কোন ধরনের সন্ত্রাসীরা যেন ঠায় না পায়।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাজী জিয়াউল হক শুভ্র বলেন,‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, এর কোন প্রমাণ আমরা পাইনি। যে হাসেম রাজাকারের ভাতিজার কথা বলা হয়েছে, তিনি অন্যজন। আর মানিকের বিষয়ে যে একাধিক মামলার আসামীর কথা বলা হয়েছে সব গুলো রাজনৈতিক মামলা। মাদক মামলা নেই। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে দুজনের বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব’।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এ.এইচ.এম সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। যেকারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বেচ্ছাসেবকলীগে অযোগ্যরাই পদপ্রত্যাশী!

স্বেচ্ছাসেবকলীগে অযোগ্যরাই পদপ্রত্যাশী!

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন রাজাকারের ভাতিজাসহ একাধিক মামলার আসামি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নটির অন্যান্য প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনে কোন রাজাকারের বংশধর কিংবা সন্ত্রাসীরা যেন ঠাঁই না পান।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সূত্রে জানা যায়, গত (৬ মে) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি বিলুপ্তকরে সম্মেলন প্রস্তুতির কমিটির অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ। এতে সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক -লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ.এইচ.এম সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং কাজী জিয়াউল হক শুভ্রকে সদস্য সচিব করা হয়।

এ অবস্থায় গত ২৩ জুন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা তাঁদের জীবন বৃত্তান্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতির কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে জমা দেন।

জানা যায়, এতে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন রাজাকার আবুল হাসেমের ভাতিজা এমরান হোসেন বিল্লাল। এ ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন একাধিক মামলার আসামি কামরুজ্জামান মানিক। তাঁরা দু’জন প্রার্থী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য ত্যাগী নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের একাধিক নেতা বলেন ‘ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামের বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়। সেখানে যেন কোন রাজাকারের বংশধর কিংবা সন্ত্রাসীদের জায়গা না হয়’।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য সামী উসমান গণি বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি চাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কমিটিতে কোন রাজাকারের বংশধর কিংবা কোন ধরনের সন্ত্রাসীরা যেন ঠায় না পায়।’

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাজী জিয়াউল হক শুভ্র বলেন,‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, এর কোন প্রমাণ আমরা পাইনি। যে হাসেম রাজাকারের ভাতিজার কথা বলা হয়েছে, তিনি অন্যজন। আর মানিকের বিষয়ে যে একাধিক মামলার আসামীর কথা বলা হয়েছে সব গুলো রাজনৈতিক মামলা। মাদক মামলা নেই। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে দুজনের বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব’।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এ.এইচ.এম সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। যেকারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত