কৃষকদের ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করলো ফিলিপাইন সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
কৃষকদের ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করলো ফিলিপাইন সরকার

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের জন্য ১.০৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় ঘোষণা করেছেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস

শুক্রবার (৭ জুলাই) প্রায় ৫০ মিলিয়ন কৃষককে ওই ঋণ ছাড় দেন তিনি।

১৯৮০ সালে ভূমি সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ৩০ বছরের জন্য ঋণে কৃষকদের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক কৃষকই সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি।

সম্প্রতি ফিলিপাইনে “কৃষি মুক্তি আইন” সাক্ষর করেন মার্কোস। সেই আইনের আওতায় কৃষকদের ছাড় দেওয়া হয়।

মার্কোস বলেন, “আমরা জানি কৃষকদের পক্ষে এ ঋণ পরিশোধ কঠিন। ফলে সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

তিনি বলেন, “সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ ছাড় মানে হলো আমরা জনগণকে অভুক্ত রাখতে চাই না। তাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে চাই।”

১৯৮৬ সালে রক্তপাতহীন বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে মার্কোসের বাবার সরকারের পতন হয়। এর এক বছর পর নতুন সরকার একটি আইনের অধীনে তিন মিলিয়ন ভূমিহীন কৃষককে ৪.৮ মিলিয়ন হেক্টর জমি দেয়। যা ছিল দেশের মোট ভূমির ১৬%।

তবে এই জমির প্রায় ১.২ মিলিয়ন হেক্টর এলাকায় কৃষকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না। যার প্রভাব পড়ছিল মোট কৃষি উৎপাদনেও।

মার্কোস বলেন, এই ঋণ ছাড়ের কারণে ৬১০,০০০ কৃষক সুবিধা পাবেন। এতে সরকারকে ৫৭.৬৫ বিলিয়ন পেসো (১.০৪ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হবে।

তিনি বলেন, “জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার আরও ২০৬ মিলিয়ন পেসো ব্যয় করবে।”

মার্কোস বলেন, “আমাদের কৃষি খাতকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এজন্য কৃষকদের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।”

২০২২ সালে নির্বাচনের পরে ফিলিপাইনে পেঁয়াজ, চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে দ্রব্যমূল্যও বৃদ্ধি পায়। এমনকি তাদের চালের আমদানি বেড়ে গিয়েছিল। ফলে সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে।

কৃষকদের ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করলো ফিলিপাইন সরকার

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কৃষকদের ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করলো ফিলিপাইন সরকার

কৃষকদের ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করলো ফিলিপাইন সরকার

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের জন্য ১.০৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় ঘোষণা করেছেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস

শুক্রবার (৭ জুলাই) প্রায় ৫০ মিলিয়ন কৃষককে ওই ঋণ ছাড় দেন তিনি।

১৯৮০ সালে ভূমি সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ৩০ বছরের জন্য ঋণে কৃষকদের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক কৃষকই সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি।

সম্প্রতি ফিলিপাইনে “কৃষি মুক্তি আইন” সাক্ষর করেন মার্কোস। সেই আইনের আওতায় কৃষকদের ছাড় দেওয়া হয়।

মার্কোস বলেন, “আমরা জানি কৃষকদের পক্ষে এ ঋণ পরিশোধ কঠিন। ফলে সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

তিনি বলেন, “সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ ছাড় মানে হলো আমরা জনগণকে অভুক্ত রাখতে চাই না। তাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে চাই।”

১৯৮৬ সালে রক্তপাতহীন বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে মার্কোসের বাবার সরকারের পতন হয়। এর এক বছর পর নতুন সরকার একটি আইনের অধীনে তিন মিলিয়ন ভূমিহীন কৃষককে ৪.৮ মিলিয়ন হেক্টর জমি দেয়। যা ছিল দেশের মোট ভূমির ১৬%।

তবে এই জমির প্রায় ১.২ মিলিয়ন হেক্টর এলাকায় কৃষকরা ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না। যার প্রভাব পড়ছিল মোট কৃষি উৎপাদনেও।

মার্কোস বলেন, এই ঋণ ছাড়ের কারণে ৬১০,০০০ কৃষক সুবিধা পাবেন। এতে সরকারকে ৫৭.৬৫ বিলিয়ন পেসো (১.০৪ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হবে।

তিনি বলেন, “জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার আরও ২০৬ মিলিয়ন পেসো ব্যয় করবে।”

মার্কোস বলেন, “আমাদের কৃষি খাতকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এজন্য কৃষকদের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।”

২০২২ সালে নির্বাচনের পরে ফিলিপাইনে পেঁয়াজ, চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে দ্রব্যমূল্যও বৃদ্ধি পায়। এমনকি তাদের চালের আমদানি বেড়ে গিয়েছিল। ফলে সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে।

কৃষকদের ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করলো ফিলিপাইন সরকার

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত