ব্যালন ডি অর জয়ী লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ব্যালন ডি অর জয়ী লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন

শিরোনাম দেখে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজের বয়স হুট করে এক লাফে নব্বইয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়নি আর তিনিও পরলোকগমন করেননি। যার কথা বলা হচ্ছে তার নাম অবশ্য লুইস সুয়ারেজই। তবে তিনি উরুগুয়ের না, স্পেনের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।

নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে লুইস সুয়ারেজ বরাবরই সাফল্যের বৃষ্টিতে ভিজেছেন। ১৯৬৪ সালে স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরোপিয়ান নেশনস কাপ (বর্তমানে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ)। তারও চার বছর আগে (১৯৬০) সুয়ারেজ জিতেছেন ফুটবলের ব্যক্তিগত পুরস্কারের অন্যতম সেরা পুরস্কার ব্যালন ডি অর জিতেছেন।

খেলোয়াড়ি জীবনে লুইস সুইয়ারেজ খেলেছেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবে। স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র পুরুষ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি অর জেতার কীর্তিও রয়েছে শুধু এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারেরই। রবিবার (৯ জুলাই) ৮৮ বছর বয়সে নিভে গেল এ কিংবদন্তি স্প্যানিশ ফুটবলারের জীবনপ্রদীপ।

খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ১৯৯০ বিশ্বকাপে স্পেনের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুয়ারেজ। সদ্যপ্রয়াত সাবেক কোচের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন বলে, লুইস সুয়ারেজ মিরামনতেসের সব আত্মীয় ও কাছের বন্ধুদের সমবেদনা জানাচ্ছে আরএফইএফ।

স্পেনের মতো ইতালির ফুটবলেও ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। তার মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছে সুয়ারেজ থাকা অবস্থায় ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে টানা দুবার ইউরোপিয়ান কাপের শিরোপা (বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জেতা ইন্টার মিলানও।

লুইস সুয়ারেজকে মহান ইন্টার খেলোয়াড় এবং অনন্য ফুটবলার হিসেবে উল্লেখ করে ইতালিয়ান ক্লাবটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গভীর বিষাদের সঙ্গে লুইসিতোকে বিদায় বলছি। তার নিখুঁত ও অদম্য ফুটবলের নস্টালজিয়া গোটা একটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

সুয়ারেজের জন্ম ১৯৩৫ সালে লা করুনিয়ায়। নিজের শহরের ক্লাব দেপোর্তিভো লা করুনার হয়েই তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়। তবে ১৯৫৪ সালে নাম লেখান বার্সেলোনায়। কাতালান ক্লাবটির হয়ে দুটি লা লিগা শিরোপা জেতেন। বার্সেলোনায় থাকাকালেই ক্যারিয়ারের একমাত্র ব্যালন ডি অরও জেতেন তিনি।

লুইস সুয়ারেজ ছাড়াও স্পেনের পুরুষ ফুটবলারদের মধ্যে ব্যালন ডি অর জেতার কীর্তি ছিল আরেক প্রয়াত কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর। তবে স্পেনের পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের এ কিংবদন্তির ছিল আর্জেন্টিনার নাগরিকত্বও। আর ডি স্টেফানোর জন্মস্থানও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেস।

বার্সেলোনা থেকে ১৯৬১ সালে দলবদলের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ইন্টার মিলানে নাম লেখান সুয়ারেজ। ইতালির ক্লাবটির হয়ে তিনি দুটি ইউরোপিয়ান কাপ আর তিনটি সিরি আ শিরোপা জেতেন। অবসরের পর কোচ হিসেবেও ইন্টারের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন এ স্প্যানিয়ার্ড।

১৯৫৭ সালে স্পেনের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লুইস সুয়ারেজের অভিষেক হয়। লা রোজাদের জার্সি গায়ে ৩২ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছিলেন এ মিডফিল্ডার। ১৯৭২ সালে তিনি জাতীয় দলকে বিদায় জানান। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে ফুটবল থেকেই বুটজোড়া তুলে রাখেন সুয়ারেজ।

ব্যালন ডি অর জয়ী লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যালন ডি অর জয়ী লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন

ব্যালন ডি অর জয়ী লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন

শিরোনাম দেখে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজের বয়স হুট করে এক লাফে নব্বইয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়নি আর তিনিও পরলোকগমন করেননি। যার কথা বলা হচ্ছে তার নাম অবশ্য লুইস সুয়ারেজই। তবে তিনি উরুগুয়ের না, স্পেনের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।

নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে লুইস সুয়ারেজ বরাবরই সাফল্যের বৃষ্টিতে ভিজেছেন। ১৯৬৪ সালে স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরোপিয়ান নেশনস কাপ (বর্তমানে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ)। তারও চার বছর আগে (১৯৬০) সুয়ারেজ জিতেছেন ফুটবলের ব্যক্তিগত পুরস্কারের অন্যতম সেরা পুরস্কার ব্যালন ডি অর জিতেছেন।

খেলোয়াড়ি জীবনে লুইস সুইয়ারেজ খেলেছেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবে। স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র পুরুষ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি অর জেতার কীর্তিও রয়েছে শুধু এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারেরই। রবিবার (৯ জুলাই) ৮৮ বছর বয়সে নিভে গেল এ কিংবদন্তি স্প্যানিশ ফুটবলারের জীবনপ্রদীপ।

খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ১৯৯০ বিশ্বকাপে স্পেনের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুয়ারেজ। সদ্যপ্রয়াত সাবেক কোচের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন বলে, লুইস সুয়ারেজ মিরামনতেসের সব আত্মীয় ও কাছের বন্ধুদের সমবেদনা জানাচ্ছে আরএফইএফ।

স্পেনের মতো ইতালির ফুটবলেও ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। তার মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছে সুয়ারেজ থাকা অবস্থায় ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে টানা দুবার ইউরোপিয়ান কাপের শিরোপা (বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জেতা ইন্টার মিলানও।

লুইস সুয়ারেজকে মহান ইন্টার খেলোয়াড় এবং অনন্য ফুটবলার হিসেবে উল্লেখ করে ইতালিয়ান ক্লাবটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গভীর বিষাদের সঙ্গে লুইসিতোকে বিদায় বলছি। তার নিখুঁত ও অদম্য ফুটবলের নস্টালজিয়া গোটা একটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

সুয়ারেজের জন্ম ১৯৩৫ সালে লা করুনিয়ায়। নিজের শহরের ক্লাব দেপোর্তিভো লা করুনার হয়েই তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয়। তবে ১৯৫৪ সালে নাম লেখান বার্সেলোনায়। কাতালান ক্লাবটির হয়ে দুটি লা লিগা শিরোপা জেতেন। বার্সেলোনায় থাকাকালেই ক্যারিয়ারের একমাত্র ব্যালন ডি অরও জেতেন তিনি।

লুইস সুয়ারেজ ছাড়াও স্পেনের পুরুষ ফুটবলারদের মধ্যে ব্যালন ডি অর জেতার কীর্তি ছিল আরেক প্রয়াত কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর। তবে স্পেনের পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের এ কিংবদন্তির ছিল আর্জেন্টিনার নাগরিকত্বও। আর ডি স্টেফানোর জন্মস্থানও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেস।

বার্সেলোনা থেকে ১৯৬১ সালে দলবদলের বিশ্বরেকর্ড গড়ে ইন্টার মিলানে নাম লেখান সুয়ারেজ। ইতালির ক্লাবটির হয়ে তিনি দুটি ইউরোপিয়ান কাপ আর তিনটি সিরি আ শিরোপা জেতেন। অবসরের পর কোচ হিসেবেও ইন্টারের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন এ স্প্যানিয়ার্ড।

১৯৫৭ সালে স্পেনের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লুইস সুয়ারেজের অভিষেক হয়। লা রোজাদের জার্সি গায়ে ৩২ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছিলেন এ মিডফিল্ডার। ১৯৭২ সালে তিনি জাতীয় দলকে বিদায় জানান। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে ফুটবল থেকেই বুটজোড়া তুলে রাখেন সুয়ারেজ।

ব্যালন ডি অর জয়ী লুইস সুয়ারেজ মারা গেছেন

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত