ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত

মোঃ হাবীবুল্লাহ মিসবাহ স্টাফ রিপোর্টার, রাঙ্গামাটি
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত
ঝুঁকিপুর্ণ সেতু

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলায় ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রায় দুইশ মারমা পরিবার।

উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্যছড়া পাড়ায় প্রায় বিশ বছর আগে নির্মিত ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ভেঙে যায়।

মারমা পাড়াটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। যার ফলে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যেমন সিএনজি এবং মোটরসাইকেল চলাচল করতেও দেখা যায় সেতুটির উপর দিয়ে। এর ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।

পাড়াবাসিরা জানায়, যাতায়াতের একমাত্র সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম সেতুটি দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। আমাদের ছেলেমেয়েরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজে যাতায়াত করে।

বহু বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে ২০ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি। কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখনো পর্যন্ত এই সেতুটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি। আমরা সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দ্রুত এই স্বল্পদৈর্ঘের সেতুটি পুনঃসংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২০০৪- ২০০৫ অর্থবছরে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫ ফুট প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।

দীর্ঘ দিন ধরে এই সেতুর পাশের রিলিংয়ের রডগুলো বের হয়ে একেবারে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে অথচ কারো পক্ষ থেকে মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

নাইক্যছড়া পাড়ার কারবারি উসাচিং মারমা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ হলেও মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত। সেতুর উপর দিয়ে যেকোন যানবাহন চলাচলের সময় কাঁপতে শুরু করে। এই সেতুর অন্যকোন বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

স্থানীয় ইউপি সদস্য থোয়াইসুইমং মারমা বলেন, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুর্গম নাইক্যছড়া পাড়ার ব্রিজটি বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং পাশের রডের সুলিং ভেঙে পড়েছে। আমার ওয়ার্ডের জনসাধারন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এই সেতুর সংস্কার মেরামত তৈরি করতে এখনো কোন অধিদপ্তর থেকে কোন বরাদ্দ আসেনি। অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা চলাচলের সময় নিচে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এছাড়াও জরুরীভাবে গর্ভবর্তী মহিলারদেরকে বহন করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও অনেক বেগ পোহাতে হয়। এলাকার জনসাধারনের জন্য এই সেতুটি অতি দ্রুত নির্মাণ বা সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা জানান, এই প্রকল্পের জন্য বাজেট আসলে তখন সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত

ঝুঁকিপুর্ণ সেতু

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত
ঝুঁকিপুর্ণ সেতু

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলায় ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রায় দুইশ মারমা পরিবার।

উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্যছড়া পাড়ায় প্রায় বিশ বছর আগে নির্মিত ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ভেঙে যায়।

মারমা পাড়াটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। যার ফলে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যেমন সিএনজি এবং মোটরসাইকেল চলাচল করতেও দেখা যায় সেতুটির উপর দিয়ে। এর ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।

পাড়াবাসিরা জানায়, যাতায়াতের একমাত্র সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম সেতুটি দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। আমাদের ছেলেমেয়েরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজে যাতায়াত করে।

বহু বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে ২০ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি। কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এখনো পর্যন্ত এই সেতুটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি। আমরা সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দ্রুত এই স্বল্পদৈর্ঘের সেতুটি পুনঃসংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২০০৪- ২০০৫ অর্থবছরে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫ ফুট প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।

দীর্ঘ দিন ধরে এই সেতুর পাশের রিলিংয়ের রডগুলো বের হয়ে একেবারে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে অথচ কারো পক্ষ থেকে মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

নাইক্যছড়া পাড়ার কারবারি উসাচিং মারমা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ হলেও মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত। সেতুর উপর দিয়ে যেকোন যানবাহন চলাচলের সময় কাঁপতে শুরু করে। এই সেতুর অন্যকোন বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

স্থানীয় ইউপি সদস্য থোয়াইসুইমং মারমা বলেন, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুর্গম নাইক্যছড়া পাড়ার ব্রিজটি বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং পাশের রডের সুলিং ভেঙে পড়েছে। আমার ওয়ার্ডের জনসাধারন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এই সেতুর সংস্কার মেরামত তৈরি করতে এখনো কোন অধিদপ্তর থেকে কোন বরাদ্দ আসেনি। অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা চলাচলের সময় নিচে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এছাড়াও জরুরীভাবে গর্ভবর্তী মহিলারদেরকে বহন করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও অনেক বেগ পোহাতে হয়। এলাকার জনসাধারনের জন্য এই সেতুটি অতি দ্রুত নির্মাণ বা সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা জানান, এই প্রকল্পের জন্য বাজেট আসলে তখন সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত

ঝুঁকিপুর্ণ সেতু

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত