মোটা বেতনের চেয়ে তরুণদের কাছে মনের সুস্থতাই বড়, বলছে জরিপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
মোটা বেতনের চেয়ে তরুণদের কাছে মনের সুস্থতাই বড়, বলছে জরিপ

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে পছন্দের ধরন বদলাচ্ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তাদের অধিকাংশের কাছে মোটা বেতনের চাকরির চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বেশি। ভারতীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরপিজি গ্রুপ পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেনারেশন জেড কেমন কর্মক্ষেত্র চান, সেটি জানতে যুবা ইনসাইটস স্টুডিওর সহায়তায় এই জরিপ পরিচালনা করে আরজিপি গ্রুপ। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪% তরুণ বলেছেন, ভালো কর্মক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে স্থান ও সময়ের ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকা, যাকে বলে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্কপ্লেস। তারা যদি দেখেন যে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে, তাহলে চাকরি বদলাতে তারা দ্বিধা করবেন না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ থেকে ২০১০ এর মধ্যে যাদের জন্ম তারা জেনারেশন জেডজেনারেশন জেড বা “জেন যি” হিসেবে পরিচিত।

জরিপে দেখা যায়, এই প্রজন্মের তরুণেরা সেই ধরনের প্রতিষ্ঠান পছন্দ করেন, যারা আচরণের বহিঃপ্রকাশের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিষয়ে বিচার করে না

কর্মক্ষেত্রে জেন যি প্রজন্মের যথার্থতা, স্বায়ত্তশাসন, পরিষ্কার মূল্যবোধ, সমতা, ন্যায্যতা ও ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকার মতো তরুণেরা কিছু মূল্যবোধ প্রত্যাশা।

জেন যি কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরনের পোশাক বিধান না থাকা, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সবার জন্য অভিন্ন বাথরুম ও ধ্যান বা গভীর চিন্তা করার কক্ষ থাকাকেও প্রাধান্য দেন।

আরপিজি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎনীতি এই জরিপের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হবে।আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হার্শ গোয়েঙ্কা বলেন, “এই জরিপ শিল্পের নেতৃত্ব, মানবসম্পদকেন্দ্রিক পেশাদার ও অন্যদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।“

প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের প্রেসিডেন্ট এস ভেঙ্কি ভেঙ্কটেশ বলেন, “কর্মক্ষেত্রে জেন যি প্রজন্মের সুখ-অসুখ বোঝাটা কেবল এখন আর ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং যেসব কোম্পানি ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে চায়, তাদের জন্য বিষয়টি অপরিহার্য।”

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির পর উন্নত বিশ্বে অনেকেই এখন পূর্ণকালীন কাজ করতে চাইছেন না। মানুষ এখন কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজছে। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ এখন আগের মতো ব্যক্তিগত জীবনকে জলাঞ্জলি দিয়ে কর্মজীবনকে প্রাধান্য দিতে চান না। সন্তানের লালন-পালনের বিষয়েও মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। মহামারির পর এ বিষয়ে আরও পরিবর্তন এসেছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে মানুষ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এখন।

মোটা বেতনের চেয়ে তরুণদের কাছে মনের সুস্থতাই বড়, বলছে জরিপ

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মোটা বেতনের চেয়ে তরুণদের কাছে মনের সুস্থতাই বড়, বলছে জরিপ

মোটা বেতনের চেয়ে তরুণদের কাছে মনের সুস্থতাই বড়, বলছে জরিপ

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে পছন্দের ধরন বদলাচ্ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তাদের অধিকাংশের কাছে মোটা বেতনের চাকরির চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বেশি। ভারতীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আরপিজি গ্রুপ পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেনারেশন জেড কেমন কর্মক্ষেত্র চান, সেটি জানতে যুবা ইনসাইটস স্টুডিওর সহায়তায় এই জরিপ পরিচালনা করে আরজিপি গ্রুপ। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪% তরুণ বলেছেন, ভালো কর্মক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে স্থান ও সময়ের ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকা, যাকে বলে ফ্লেক্সিবল ওয়ার্কপ্লেস। তারা যদি দেখেন যে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে, তাহলে চাকরি বদলাতে তারা দ্বিধা করবেন না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ থেকে ২০১০ এর মধ্যে যাদের জন্ম তারা জেনারেশন জেডজেনারেশন জেড বা “জেন যি” হিসেবে পরিচিত।

জরিপে দেখা যায়, এই প্রজন্মের তরুণেরা সেই ধরনের প্রতিষ্ঠান পছন্দ করেন, যারা আচরণের বহিঃপ্রকাশের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিষয়ে বিচার করে না

কর্মক্ষেত্রে জেন যি প্রজন্মের যথার্থতা, স্বায়ত্তশাসন, পরিষ্কার মূল্যবোধ, সমতা, ন্যায্যতা ও ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকার মতো তরুণেরা কিছু মূল্যবোধ প্রত্যাশা।

জেন যি কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরনের পোশাক বিধান না থাকা, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সবার জন্য অভিন্ন বাথরুম ও ধ্যান বা গভীর চিন্তা করার কক্ষ থাকাকেও প্রাধান্য দেন।

আরপিজি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎনীতি এই জরিপের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হবে।আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হার্শ গোয়েঙ্কা বলেন, “এই জরিপ শিল্পের নেতৃত্ব, মানবসম্পদকেন্দ্রিক পেশাদার ও অন্যদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।“

প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের প্রেসিডেন্ট এস ভেঙ্কি ভেঙ্কটেশ বলেন, “কর্মক্ষেত্রে জেন যি প্রজন্মের সুখ-অসুখ বোঝাটা কেবল এখন আর ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং যেসব কোম্পানি ভবিষ্যতেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে চায়, তাদের জন্য বিষয়টি অপরিহার্য।”

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির পর উন্নত বিশ্বে অনেকেই এখন পূর্ণকালীন কাজ করতে চাইছেন না। মানুষ এখন কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজছে। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ এখন আগের মতো ব্যক্তিগত জীবনকে জলাঞ্জলি দিয়ে কর্মজীবনকে প্রাধান্য দিতে চান না। সন্তানের লালন-পালনের বিষয়েও মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। মহামারির পর এ বিষয়ে আরও পরিবর্তন এসেছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে মানুষ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এখন।

মোটা বেতনের চেয়ে তরুণদের কাছে মনের সুস্থতাই বড়, বলছে জরিপ

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত