মিতু হত্যা : বিকাশে তিন নাম্বারে ৩ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য

জাবেদুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা : বিকাশে তিন নাম্বারে ৩ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য

চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বেরিয়ে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুই আসামি মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার হোসেনকে বিকাশে পাঠানো হয়েছে তিন লক্ষ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্যদানে এমন তথ্য জানান অভিযুক্ত বাবুলের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ইসলামের কর্মচারী মোখলেসুর রহমান ইরাদ।

এসময় ইরাদ আরও বলেন, মিতু ভাবী মার্ডার হন ২০১৬ সালের ৫ জুন। দুদিন পর সাইফুল স্যার ও আমি বাবুল আক্তার স্যারের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বনশ্রীর মেরাদিয়াতে যাই। সেখানে দুপুরের খাবার খাই। বাবুল আক্তার স্যারের ছেলেমেয়ের সাথে সেলফি তুলে তা ফেইসবুকে শেয়ারও করি। একপর্যায়ে সাইফুল স্যার আমাকে অফিসে যেতে বলেন এবং নির্দেশ দেন একাউন্টস থেকে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করতে। নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে যাই এবং তিন লাখ টাকা গ্রহণ করি। বিষয়টি স্যারকে জানাই এবং জিজ্ঞেস করি টাকাগুলো কী করব? তিনি টাকাগুলো বাবুল আক্তার স্যারের বোনের বাসায় দিয়ে আসতে বলেন। আমি সেটা করি।

তিনি বলেন, পরদিন সাইফুল স্যার ফের বাবুল আক্তার স্যারের বোনের বাসায় যেতে বলেন এবং তিন লাখ টাকা নিতে বলেন। আমি সেখানে যাই এবং তিন লাখ টাকা গ্রহণ করি। পাশাপাশি আমাকে দুটি গ্রামীণ নম্বর (বিকাশ) ও দুটি নাম (আনোয়ার ও ওয়াসিম) দেওয়া হয়। তখন বাবুল আক্তার স্যারের বাবাও সেখানে ছিলেন। একপর্যায়ে সাইফুল স্যারকে ফোন দিলে তিনি টাকাগুলো বিকাশ নম্বর দুটিতে পাঠিয়ে দিতে বলেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমি তা করি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, মিতু খুনের মামলায় ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ মামলার সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল আক্তার কঙবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর কঙবাজার কার্যালয়ের কর্মী ও ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর জেরে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। একপর্যায়ে খুনিদের ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করে মিশন শেষ করেন। পরে পরিকল্পনা মতো এ হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গিদের কাজ বলে প্রচারণা চালানো হয়।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে মিতুকে খুন করা হয়।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মিতু হত্যা : বিকাশে তিন নাম্বারে ৩ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য

মিতু হত্যা : বিকাশে তিন নাম্বারে ৩ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য

চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বেরিয়ে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুই আসামি মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার হোসেনকে বিকাশে পাঠানো হয়েছে তিন লক্ষ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্যদানে এমন তথ্য জানান অভিযুক্ত বাবুলের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ইসলামের কর্মচারী মোখলেসুর রহমান ইরাদ।

এসময় ইরাদ আরও বলেন, মিতু ভাবী মার্ডার হন ২০১৬ সালের ৫ জুন। দুদিন পর সাইফুল স্যার ও আমি বাবুল আক্তার স্যারের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বনশ্রীর মেরাদিয়াতে যাই। সেখানে দুপুরের খাবার খাই। বাবুল আক্তার স্যারের ছেলেমেয়ের সাথে সেলফি তুলে তা ফেইসবুকে শেয়ারও করি। একপর্যায়ে সাইফুল স্যার আমাকে অফিসে যেতে বলেন এবং নির্দেশ দেন একাউন্টস থেকে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করতে। নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে যাই এবং তিন লাখ টাকা গ্রহণ করি। বিষয়টি স্যারকে জানাই এবং জিজ্ঞেস করি টাকাগুলো কী করব? তিনি টাকাগুলো বাবুল আক্তার স্যারের বোনের বাসায় দিয়ে আসতে বলেন। আমি সেটা করি।

তিনি বলেন, পরদিন সাইফুল স্যার ফের বাবুল আক্তার স্যারের বোনের বাসায় যেতে বলেন এবং তিন লাখ টাকা নিতে বলেন। আমি সেখানে যাই এবং তিন লাখ টাকা গ্রহণ করি। পাশাপাশি আমাকে দুটি গ্রামীণ নম্বর (বিকাশ) ও দুটি নাম (আনোয়ার ও ওয়াসিম) দেওয়া হয়। তখন বাবুল আক্তার স্যারের বাবাও সেখানে ছিলেন। একপর্যায়ে সাইফুল স্যারকে ফোন দিলে তিনি টাকাগুলো বিকাশ নম্বর দুটিতে পাঠিয়ে দিতে বলেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমি তা করি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, মিতু খুনের মামলায় ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ মামলার সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল আক্তার কঙবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর কঙবাজার কার্যালয়ের কর্মী ও ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর জেরে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। একপর্যায়ে খুনিদের ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করে মিশন শেষ করেন। পরে পরিকল্পনা মতো এ হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গিদের কাজ বলে প্রচারণা চালানো হয়।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে মিতুকে খুন করা হয়।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত