কানাডা বাংলাদেশের জন্য তাদের ভিসা ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন করেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র।
ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করার এক মাস পরও ভিসা পাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভিসা নীতির কারণে তার ভিসার আবেদন কানাডা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জোর আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ সিম্পোজিয়াম-২০২৩-এ যোগ দিতে কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল উপাচার্য আখতারুজ্জামানের।
বুধবার (১৯ জুলাই) এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আমন্ত্রণ পেলেও ভিসা না পাওয়ায় সেখানে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জানায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িতদের মার্কিন ভিসা প্রাপ্তি কঠিন হবে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির ভিসা সংক্রান্ত তথ্য সাধারণত অন্যদের জানানো হয় না।
একজন সাংবাদিক ফেসবুক পোস্টে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে মার্কিন ভিসা নীতির প্রথম শহিদ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি তার পোস্টে ১৯ জুলাই মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাবি উপাচার্যের ভিসা না পাওয়া সংক্রান্ত সংবাদের একটি ছবি এবং গত ২ জুন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত মার্কিন ভিসা নীতির সমালোচনা করে উপাচার্যের বক্তব্যের আরেকটি সংবাদের ছবি জুড়ে দিয়েছেন।
তার ওই পোস্টে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, কানাডার সঙ্গে মার্কিন ভিসা নীতির কোনো সম্পর্ক নেই এবং ঢাবি উপাচার্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গেও জড়িত নন।
তবে ওই সাংবাদিকের যুক্তি, যেকোনো মার্কিন নীতি কানাডায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযোজ্য।
এ বিষয়ে ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, কানাডার নিজস্ব ভিসা নীতি রয়েছে। কানাডা বাংলাদেশের জন্য তাদের ভিসা ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনেনি।
তিনি আরও বলেন, কানাডার ভিসা পেতে একটু বেশি সময় লাগে, তাই আমরা কানাডা ভ্রমণ ইচ্ছুদের হাতে সময় নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে বলি।