আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, “শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে সংবিধান থেকে সেটা বের করে দিয়েছে। আর সেখানে ফিরে যাওয়া যাবে না।”
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না হয়, সেজন্য আইন করেছে। হত্যাকারীদের চাকরি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছে। আর জামায়াত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে কারও সঙ্গে আপস না করে দেশের মানুষের অধিকার এবং স্বাধিকার আদায়ের জন্যে সংগ্রাম করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি-জামায়াত দেশ চালিয়েছে। তারা চেষ্টা করেছে যেন বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়। তারা চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আমারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভূলে যাই নাই। এই ষড়যন্ত্র তারা করবেই।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আজ বড় বড় শত্রুদের মোকাবিলা করতে হবে। তাদের মোকাবিলা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আবার একটা নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে।”
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানি, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।