বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে “ফুড সিস্টেম” সম্মেলনের ফাঁকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কাঠমান্ডুকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নেপালের জন্য চালনা ও চট্টগ্রাম বন্দর খুলে দিয়েছে। নেপাল নবনির্মিত পায়রা বন্দরও ব্যবহার করতে পারবে।”
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সদ্য খোলা বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে মোমেন সোমবার (২৪ জুলাই) সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
মোমেন জানান, আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে, সে কথা প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সফলভাবে দেশ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরও প্রশংসা করেন। দাহাল বলেন, “আপনি (শেখ হাসিনা) আমাদের অঞ্চলের নেতা।”
নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, সে কথা বৈঠকে তুলে ধরেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ আরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেবে।
নেপালের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী যে বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে, সে কথাও বৈঠকে বলেন পুষ্প কমল দাহাল।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান উপস্থিত ছিলেন।