ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় এখন ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “আমরা জানি ডিবি কার্যালয় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আতঙ্কের আস্তানা। সেখানে কী হয়েছিল জানেন? ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে।”
বুধবার (৯ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “গত ২৯ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে নগরীর ধোলাইখাল এলাকায় দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডিবি অফিসের প্রধান হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের খাবারের ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে আরও কয়েকজন সেলিব্রেটি ডিবি অফিসে তাদের বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সেখানে যাওয়ায় দুপুরের খাবার খান। ডিবি প্রধান বলেন, দুপুরের খাবারের সময় তাদের অফিসে আসা লোকজনকে দুপুরের খাবার দেয়।”
চলমান আন্দোলন দমন করতে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর জন্য ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতাদের তুলে নিয়ে ৪-৫ দিনের জন্য গায়েব করা হচ্ছে। তারপর বলা হয় মহানগর ডিবি অফিসে নাকি ডিবি পুলিশের কাছে। কয়েকদিন পর থানায় হস্তান্তর করা হয়।”
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন ও স্বাভাবিক রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন বা ন্যায়বিচার নেই। দেশে ন্যায়বিচার থাকলে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন তারা তাদের অপকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে থাকতেন।”