এশিয়ায় ২০২২ সালে গরিব হয়েছেন আরও সাত কোটি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
এশিয়ায় ২০২২ সালে গরিব হয়েছেন আরও সাত কোটি মানুষ

কোভিড-১৯ মহামারী ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নতুন করে প্রায় সাত কোটি মানুষ চরম দরিদ্রতার শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এডিবি জানায়, ২০২২ সালে এশিয়ার উন্নয়নশীল অঞ্চলে সাড়ে ১৫ কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন; যা মহামারীর আগের তুলনায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ বেশি।

সংস্থাটি ২০২০ সালে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, কোভিড-১৯ এর কারণে পরের বছর তার তুলনায় অতিরিক্ত মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হন।

২০২১ সালে এডিবি বলেছিল, এই অঞ্চলে অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৮ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০১৭ সালের দ্রব্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে দিনে ২.১৫ ডলারের কম অর্থে জীবনযাপন করাই চরম দরিদ্রতা।

এডিবি বলছে, এশিয়ায় দরিদ্রতা কমার ইতিবাচক ধারা রয়েছে। তবুও ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের ৩০.৩% মানুষের দৈনিক আয় ৩.৬৫-৬.৮৫ ডলারের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সংস্থাটির মতে, এশিয়ার মধ্যে অন্তত ৪৬টি অর্থনীতির দেশই উন্নয়নশীল। সঙ্কট নিরসনে এসব দেশকে সামাজিক কল্যাণ জোরদার, উন্নত আর্থিক সেবা, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি উন্নয়নে জোর দিতে হবে।

এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেন, “এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কোভিড-১৯ মহামারীর সময় কাটিয়ে উঠেছে। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দরিদ্রতা দূরীকরণের গতি স্লথ হয়ে এসেছে।”

তিনি বলেন, “নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই মানুষ এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এশিয়ায় ২০২২ সালে গরিব হয়েছেন আরও সাত কোটি মানুষ

এশিয়ায় ২০২২ সালে গরিব হয়েছেন আরও সাত কোটি মানুষ

কোভিড-১৯ মহামারী ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নতুন করে প্রায় সাত কোটি মানুষ চরম দরিদ্রতার শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এডিবি জানায়, ২০২২ সালে এশিয়ার উন্নয়নশীল অঞ্চলে সাড়ে ১৫ কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছেন; যা মহামারীর আগের তুলনায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ বেশি।

সংস্থাটি ২০২০ সালে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, কোভিড-১৯ এর কারণে পরের বছর তার তুলনায় অতিরিক্ত মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হন।

২০২১ সালে এডিবি বলেছিল, এই অঞ্চলে অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৮ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০১৭ সালের দ্রব্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে দিনে ২.১৫ ডলারের কম অর্থে জীবনযাপন করাই চরম দরিদ্রতা।

এডিবি বলছে, এশিয়ায় দরিদ্রতা কমার ইতিবাচক ধারা রয়েছে। তবুও ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের ৩০.৩% মানুষের দৈনিক আয় ৩.৬৫-৬.৮৫ ডলারের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সংস্থাটির মতে, এশিয়ার মধ্যে অন্তত ৪৬টি অর্থনীতির দেশই উন্নয়নশীল। সঙ্কট নিরসনে এসব দেশকে সামাজিক কল্যাণ জোরদার, উন্নত আর্থিক সেবা, অবকাঠামোগত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি উন্নয়নে জোর দিতে হবে।

এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেন, “এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কোভিড-১৯ মহামারীর সময় কাটিয়ে উঠেছে। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দরিদ্রতা দূরীকরণের গতি স্লথ হয়ে এসেছে।”

তিনি বলেন, “নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই মানুষ এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত