প্রথম দিকে স্টেশনে দুই ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। স্থায়ী ও এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড। শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই কার্ড কিনতে হবে। পরে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরে কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ড দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করা যাবে। এক দশকের অপেক্ষার পর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন হলেও আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে বহুল প্রতিক্ষীত এই গণপরিবহনের দরজা খুলছে সাধারণ মানুষের জন্য।
মেট্রোরেল যাতায়াত করতে একক যাত্রার টিকিট স্টেশনে পাওয়া যাবে। তবে যারা নিয়মিত মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে বারবার টিকিট সংগ্রহ করতে চান না, তাদের জন্য রয়েছে এমআরটি পাস কার্ড। যা ব্যবহার করে শুধু টাকা রিচার্জ করেই যতো বার খুশি ভ্রমণ করা যাবে।
এমআরটি পাস কার্ড সংগ্রহের দরকার এমআরটি পাস কার্ডের আবেদন ফরম। এ ফরম এখন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে এ ফরম।
মেট্রোরেল অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো জাকারিয়া বলেছেন, ফরমটি পূরণ করে মেট্রোরেলের যেকোনও স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে এমআরটি পাস কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। কার্ডের মূল্যবাবদ ২০০ ও জামানত টাকা ২০০ টাকা লাগবে।
স্টেশনের প্রতিটি টিকিট কাউন্টার থেকে এমআরটি পাস কার্ডে ২০০ টাকা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে। তাছাড়া যারা নিজেদের রিচার্জ নিজেরা করতে পারবেন, তারা টিকিট বিক্রয় মেশিনে টপ আপ অপশনে গিয়ে রিচার্জ করতে পারবেন।’
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ, ইউপে এবং ডিবিবিএল কার্ডের মাধ্যমে এই পাস কার্ডের রিচার্জের জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।