নতুন বছরের শুরুতেই অন্যান্য বারের মতো এবারও আয়োজিত হয়েছে বাণিজ্যমেলা। যদিও মহামারি করোনার কারণে বিগত দুই বছর অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সালে বাণিজ্যমেলা হয়নি। বিগত দুই বছর পর এবার ২৬তম বারের মতো শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২। ঢাকার অদূরে পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ২০১৭ সালে ৩২ একর জায়গা নিয়ে একটি এক্সিবিশন সেন্টার তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর গনচীন ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে বাণিজ্যমেলা ও প্রদর্শনীয় এই স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টার নামে পরিচিত। এই এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।
পূর্বাচলের নতুন এই ভেন্যুতেই এবার আয়োজিত হয়েছে বাণিজ্যমেলা। এখানে আছে প্রায় ৩৩ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী স্পেস। এক্সিবিশন হলে মোট ৮০০টি বুথ আছে। যার প্রতিটির আয়তন ৮.৬৭ বর্গমিটার। এ ছাড়াও বাইরে ৬ একর খোলা জায়গা আছে। যেখানে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা পূর্বাচলের চার নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে।
দেশীয় পণ্যের প্রচার-প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আগে এই মেলা হতো রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে।
১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যমেলার উদ্বোধান করেন।
বাণিজ্যমেলায় কীভাবে যাবেন তা নিয়ে অনেকে মনে সংশয় রয়েছে। ফলে সঠিক গাইডলাইন না জানা থাকলে রাস্তায় পোহাতে হয় ভোগান্তি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাণিজ্যমেলায় যাওয়ার সহজ রোডম্যাপ।
বাণিজ্যমেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) শাটল বাস সার্ভিস চালু করেছে।
বাণিজ্য মেলায় যেতে হলে ঢাকা শহরের যে কোনো জায়গা থেকে প্রথমে যেতে হবে কুড়িল বিশ্বরোডে। সেখান থেকে পাওয়া যাচ্ছে বিআরটিসির বাস। কুড়িল বিশ্বরোড টু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা নামে বিআরটিসির শাটল বাস পাবেন যাত্রীরা। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে মেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব বাস চলবে। উভয় প্রান্ত থেকে বাসগুলো যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
বাণিজ্য মেলায় যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৫০টি বাস চলাচল করছে। এই পথের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলাকেন্দ্র পর্যন্ত দূরত্ব হবে ১৪ কিলোমিটারের কিছু বেশি। তবে মেলা শুরু হওয়ার মাত্র দুইদিন হওয়ার যাত্রীর তেমন চাপ নেই। মেলার যাওয়া যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় একাধিক কাউন্টার করা হয়েছে। এসব কাউন্টার থেকে শুধু শাটল বাস সার্ভিসের টিকিট দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কুড়িল-ভুলতা রুটে নিয়মিত চলাচল করা ২২টি আর্টিকুলেটেড বাসে করেও মেলায় যাওয়া যাবে।
বিআরটিসির দ্বিতল বাসগুলো কাউন্টারের সামনে ভেড়ানো থাকছে, যাত্রী ভরে গেলে বাস ছাড়া হচ্ছে। তবে এখন যাত্রী পাচ্ছে না বিআরটিসির বাসগুলো ।
দেশীয় পণ্যের প্রচার-প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আগে এই মেলা হতো রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে।
বাণিজ্যমেলার প্রবেশ ফি কত?
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২২ এর এক্সিবিশন সেন্টারে বড়দের জন্য প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা ও অন্যান্য দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাণিজ্যমেলা।