রাজধানীতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র

রাজধানীতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র
ছবি ইন্টারনেট

বর্তমান রাজধানীতে প্রকাশে ছিনতাই করছে ছিনতাইকারীরা। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এসব ছিনতাইকারী চক্র। মাদক ব্যবসায়ীদের মতো প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কৌশল প্রয়োগ করে নির্বিঘে ভয়হীন ভাবে ছিনতাই করে যাচ্ছে তারা। আগে যেখানে ছিনতাইকারী নিরিবিলি বা অন্ধকারাচ্ছন্ন নীরব এলাকায় ছিনতাই করতো, এখন সেই ছিনতাই হচ্ছে শত শত মানুষের মধ্যেই শত শত মানুষের জনসমাগমে।

জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতেও এসব ছিনতাইকারীরা সংঘবদ্ধ ‘বন্ধু’ সেজে বা পরিচিতির কোন আত্তীয়তার ভান করে কৌশলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে জিম্মি করে কেড়ে নিচ্ছে তার সর্বস্ব এসব ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীরা নতুন কৌশল যেমন সুন্দরী-স্মার্ট নারী চক্র টার্গেট করে করছে। শুধু রাতের আধারেই নই দিনে-দুপুরে নিরীহ মানুষদের ভয় দেখিয়ে অথবা যে কোন কৌশলে সব লুটে নিচ্ছে বেপরোয়া এইসব ছিনতাইকারীচক্র।

বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর প্রশিকার মোড়, খেজুরবাগান, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, পান্থপথ, ঢাকা উদ্যান, দৈনিক বাংলা-মতিঝিল, আরামবাগ, সায়দাবাদ, শাহজাহানপুর, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, পুরান ঢাকার বংশাল, সদরঘাট এলাকা, ইংলিশ রোড, শ্যামপুর-গেন্ডারিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব ছিনতাইকারীরা ব্যাপক ভাবে ছিনতাই করে যাচ্ছে।

ছিনতাইকারীরাও এখন এক কৌশল পরিবর্তন করে নতুন কৌশল নিয়ে ভয়ঙ্কর ভাবে ছিনতাই করে যাচ্ছে। তারা এখন নির্জন স্থানের চেয়ে বরং জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতেই বেশি ছিনতাই করে যাচ্ছে। একজন না হলে তিন থেকে চোরজনের গ্রুপ মিলে টার্গেট ব্যক্তির কাঁধে হাত রেখে ‘বন্ধু’ বা পরিচিতজনের ভান করে লুফে নিচ্ছে পথচারী মানুষের সব কিছু। কোন কোন ছিনতাইকরী আবার গোপনে টার্গেট ব্যক্তির শরীরে পিস্তল বা ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। কেউ এতে বাড়বাড়ি করলেই থাকে প্রান হারানো ভয়। এই ধরণের প্রানঘাতি ছিনতাইকারী গ্রুপ মূলত মিরপুরের প্রশিকার মোড়ে, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, হাতিরঝিল, রামপুরা, সায়দাবাদ, গুলিস্তানসহ আরও কিছু এলাকায় পাওয়া যায়।

এ সকল ছিনতাই কমানোর জন্য পেশাদার এসব অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কারাগারের ভেতরে মোটিভেট করা প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। তাদের মধ্যে মনুষত্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।

ছিনতাই রোধে কিছু নির্দেশনা:

১. আইনের পাশাপাশি আমাদের জন সাধারণকেউ সতেচন হতে হবে।

২. প্রয়োজন ব্যাতিরেখে মূল্যবান জিনিস নিয়ে বাহিরে বের হওয়ার যাবে না।

৩. যদি মূল্যবান জিনিস থাকে তাহলে একা একা কোথায় বের হওয়া যাবে না।

৪. অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে সহজেই বিশ্বাস করা যাবে না।

৫. অপরিচিত কোন ব্যক্তির দেওয়া কোন কিছু খাওয়া যাবে না।

৬. নিজের সেইফটি নিয়ে ভেবে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

৭. নিজেদের গোপনিয় কিছু বাহিরের কাউকে বলা যাবে না।

৮. সন্দেহ কোন কিছু মনে হলে অবশ্যই পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজধানীতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র

রাজধানীতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র
ছবি ইন্টারনেট

বর্তমান রাজধানীতে প্রকাশে ছিনতাই করছে ছিনতাইকারীরা। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এসব ছিনতাইকারী চক্র। মাদক ব্যবসায়ীদের মতো প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কৌশল প্রয়োগ করে নির্বিঘে ভয়হীন ভাবে ছিনতাই করে যাচ্ছে তারা। আগে যেখানে ছিনতাইকারী নিরিবিলি বা অন্ধকারাচ্ছন্ন নীরব এলাকায় ছিনতাই করতো, এখন সেই ছিনতাই হচ্ছে শত শত মানুষের মধ্যেই শত শত মানুষের জনসমাগমে।

জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতেও এসব ছিনতাইকারীরা সংঘবদ্ধ ‘বন্ধু’ সেজে বা পরিচিতির কোন আত্তীয়তার ভান করে কৌশলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে জিম্মি করে কেড়ে নিচ্ছে তার সর্বস্ব এসব ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীরা নতুন কৌশল যেমন সুন্দরী-স্মার্ট নারী চক্র টার্গেট করে করছে। শুধু রাতের আধারেই নই দিনে-দুপুরে নিরীহ মানুষদের ভয় দেখিয়ে অথবা যে কোন কৌশলে সব লুটে নিচ্ছে বেপরোয়া এইসব ছিনতাইকারীচক্র।

বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর প্রশিকার মোড়, খেজুরবাগান, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, মগবাজার, পান্থপথ, ঢাকা উদ্যান, দৈনিক বাংলা-মতিঝিল, আরামবাগ, সায়দাবাদ, শাহজাহানপুর, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, পুরান ঢাকার বংশাল, সদরঘাট এলাকা, ইংলিশ রোড, শ্যামপুর-গেন্ডারিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব ছিনতাইকারীরা ব্যাপক ভাবে ছিনতাই করে যাচ্ছে।

ছিনতাইকারীরাও এখন এক কৌশল পরিবর্তন করে নতুন কৌশল নিয়ে ভয়ঙ্কর ভাবে ছিনতাই করে যাচ্ছে। তারা এখন নির্জন স্থানের চেয়ে বরং জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতেই বেশি ছিনতাই করে যাচ্ছে। একজন না হলে তিন থেকে চোরজনের গ্রুপ মিলে টার্গেট ব্যক্তির কাঁধে হাত রেখে ‘বন্ধু’ বা পরিচিতজনের ভান করে লুফে নিচ্ছে পথচারী মানুষের সব কিছু। কোন কোন ছিনতাইকরী আবার গোপনে টার্গেট ব্যক্তির শরীরে পিস্তল বা ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। কেউ এতে বাড়বাড়ি করলেই থাকে প্রান হারানো ভয়। এই ধরণের প্রানঘাতি ছিনতাইকারী গ্রুপ মূলত মিরপুরের প্রশিকার মোড়ে, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, হাতিরঝিল, রামপুরা, সায়দাবাদ, গুলিস্তানসহ আরও কিছু এলাকায় পাওয়া যায়।

এ সকল ছিনতাই কমানোর জন্য পেশাদার এসব অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কারাগারের ভেতরে মোটিভেট করা প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। তাদের মধ্যে মনুষত্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।

ছিনতাই রোধে কিছু নির্দেশনা:

১. আইনের পাশাপাশি আমাদের জন সাধারণকেউ সতেচন হতে হবে।

২. প্রয়োজন ব্যাতিরেখে মূল্যবান জিনিস নিয়ে বাহিরে বের হওয়ার যাবে না।

৩. যদি মূল্যবান জিনিস থাকে তাহলে একা একা কোথায় বের হওয়া যাবে না।

৪. অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে সহজেই বিশ্বাস করা যাবে না।

৫. অপরিচিত কোন ব্যক্তির দেওয়া কোন কিছু খাওয়া যাবে না।

৬. নিজের সেইফটি নিয়ে ভেবে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

৭. নিজেদের গোপনিয় কিছু বাহিরের কাউকে বলা যাবে না।

৮. সন্দেহ কোন কিছু মনে হলে অবশ্যই পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত