ছিনতাইয়ের একটি মামলায় হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলেন তিন আসামি, সেখানে বসেই আরেকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন তারা। পরদিন পরিকল্পনামতে, নগরীর পাহাড়তলীতে রেলওয়ে কর্মচারীর পেনশনের ১৫ লাখ টাকা ছোঁ মেরে নিয়ে যান তারা।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (১ অক্টোবর) নগরের মনসুরাবাদে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার আলী হোসেন এই তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নুরুল হক সজিব ওরফে রাজীব (৩৩), মো. মহিউদ্দিন বেল্লাল ওরফে বেলাল (৪২) ও মো. রায়হান (২৮)।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর ও পশ্চিম) উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, ভুক্তভোগী মো. রুহুল আমিন (৬০) রেলওয়ের কর্মচারী ছিলেন। এক বছর আগে তিনি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। তার পেনশনের টাকা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড পাহাড়তলী শাখায় গচ্ছিত ছিল। সম্প্রতি তিনি টাকাগুলো সোনালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় রাখার মনোস্থির করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি ইসলামী ব্যাংক পাহাড়তলী শাখা থেকে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা তোলেন। এ সময় তার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। টাকা উত্তোলনের পর তিনি গাড়িতে ওঠার জন্য অলংকার মোড় যাচ্ছিলেন। সেসময় পেছন থেকে অটোরিকশাযোগে ছিনতাইকারীরা এসে তার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুহুল আমিন পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার ডিবিকে দেয়া হয়। প্রায় ৪০টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসঙ্গে ছিনতাই হওয়া ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।