ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে ২৩২৯ জন নিহত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৯ হাজার ৭১৪ জন।
আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় কমপক্ষে ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯ হাজার ৭১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে সাত শতাধিক শিশু ও পাঁচ শতাধিক নারী রয়েছে বলেও জানানো হয়।
এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির পদাতিক বাহিনী গাজায় স্থানীয়ভাবে অভিযান চালিয়েছে। যদিও তারা দাবি করেছে, হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। তবে নির্বিচার এসব হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যেই গাজায় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লাখ সেনা ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র জড়ো করেছে তারা।
সম্ভাব্য স্থল অভিযানের আগে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ১১ লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের এমন নির্দেশনার পর কয়েক হাজার মানুষ সরে গেলেও, বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি তাদের নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলের এবং গাজা শহরের জনগণকে নিজেদের বাড়িতে থাকতে বলেছি। ইসরাইল বলেছে, শনিবারও তাদের পদাতিক বাহিনী এবং ট্যাংকগুলো, গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের ১০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের এমন হুমকিতে ভীত নন ফিলিস্তিনিরা। তারা ইসরায়েলের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
এদিকে, শুক্রবার লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক ফটোসাংবাদিক নিহত এবং আলজাজিরা, রয়টার্স, এপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরায়েল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে। সূত্র: আল-জাজিরা