বকেয়া পাওনা আদায়ে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের শ্রমিকদের মানববন্ধন

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
বকেয়া পাওনা আদায়ে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের শ্রমিকদের মানববন্ধন

বকেয়া পাওনা আদায়, চাকরিচ্যুতি বন্ধ ও অনিয়ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করছে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের শ্রমিকরা। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে গ্রামীণ টেলিকম ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন, ১৯৯৭ সালে গ্রামীণ কমিউনিকেশনস প্রতিষ্ঠিত করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুরু থেকেই তিনি এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, এ প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে আসছে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটি ‘নট ফর প্রফিট’ হিসেবে কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা মোতাবেক নিবন্ধিত হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক। ড. ইউনূসের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। আজ তিনি চুক্তির অজুহাতে সব শ্রমিককে একটি চিঠি দিয়ে টারমিনেট করে বিদায় দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

শ্রমিকরা আরও বলেন, আজ শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সাল থেকেই শ্রম আইন পালন না করেই পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমঘণ্টা চালু ছিল না অদ্যবদি নেই। ছুটির বেতন শ্রম আইন মোতাবেক নগদায়ন করা হয় না। বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন স্কেলের বর্ধিত বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ও অন্যান্য ভাতা দেওয়া হয় না। সাপ্তাহিক ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি ভোগ করতে দেওয়া হয় না। ইতিপূর্বে যখন আমাদের শ্রমিকরা ২০১৯ সালে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, তখন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নানা ধরনের হুমকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করে। ফলে শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করে। ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাদের শ্রমিক নেতা বদরুল আলম, আব্দুস সালাম, আব্দুল গফুর, শাহ আলম ইলিয়াস কাঞ্চনসহ আরও আটজনকে চাকরিচ্যুত করে।

মানববন্ধনে শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়-

প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে সব শ্রমিকের বেতন স্কেল সংশোধনপূর্বক বেতন রিভিউ করে (পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ) বর্ধিত বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত ও অন্যান্য ভাতার বকেয়া মজুরিসহ প্রত্যেক শ্রমিককে সমুদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

বেতন স্কেল সংশোধন ও রিভিউ পূর্বক বার্ষিক অর্জিত ছুটির বেতন বাৎসরিক ২০ দিন হারে মোট বেতনের সমপরিমাণ অনুযায়ী বকেয়াসহ সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

অন্যায়ভাবে নোটিশ ছাড়া বিগত বছরে না দেওয়া বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে এবং শুরু থেকে বার্ষিক ৫% হারে প্রতি বছরের ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিপূর্বক বকেয়াসহ সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

শুরু থেকে ক্ষতিপূরণজনিত সাপ্তাহিক ছুটির বকেয়া বেতন ও ভাতার সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

পুনরায় অডিট করে শ্রম আইন মোতাবেক ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করে শ্রমিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শুরু থেকে বকেয়াসহ প্রদান করতে হবে।

শ্রম আইন মোতাবেক অধিকাল ভাতা (ওভার টাইম হিসেব করে) সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

ট্রেড ইউনিয়ন করার দায়ে চাকরিচ্যুত আটজন শ্রমিক (মো. বদরুল আলম, মো. আব্দুস সালাম, মো. আব্দুল গফুর, ইলিয়াস কাঞ্চন, মো. শাহ আলম, মো. জিল্লুর রহমান, মো. হোসাইন আহম্মদ ও এমরানুল হক) চাকরি ফেরত দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অসময়ে কর্মী ছাটাই করা হলে প্রদেয় সুবিধার অধিক ক্ষতিপূরণ বাবদ কমপক্ষে ১০ বছরের ক্ষতিমূল্য প্রদান করতে হবে এবং অন্যান্য পাওনা থাকলে তা দিতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বকেয়া পাওনা আদায়ে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের শ্রমিকদের মানববন্ধন

বকেয়া পাওনা আদায়ে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের শ্রমিকদের মানববন্ধন

বকেয়া পাওনা আদায়, চাকরিচ্যুতি বন্ধ ও অনিয়ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করছে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের শ্রমিকরা। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে গ্রামীণ টেলিকম ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন, ১৯৯৭ সালে গ্রামীণ কমিউনিকেশনস প্রতিষ্ঠিত করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুরু থেকেই তিনি এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, এ প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে আসছে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটি ‘নট ফর প্রফিট’ হিসেবে কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা মোতাবেক নিবন্ধিত হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক। ড. ইউনূসের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। আজ তিনি চুক্তির অজুহাতে সব শ্রমিককে একটি চিঠি দিয়ে টারমিনেট করে বিদায় দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

শ্রমিকরা আরও বলেন, আজ শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সাল থেকেই শ্রম আইন পালন না করেই পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমঘণ্টা চালু ছিল না অদ্যবদি নেই। ছুটির বেতন শ্রম আইন মোতাবেক নগদায়ন করা হয় না। বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন স্কেলের বর্ধিত বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ও অন্যান্য ভাতা দেওয়া হয় না। সাপ্তাহিক ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি ভোগ করতে দেওয়া হয় না। ইতিপূর্বে যখন আমাদের শ্রমিকরা ২০১৯ সালে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, তখন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নানা ধরনের হুমকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করে। ফলে শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করে। ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাদের শ্রমিক নেতা বদরুল আলম, আব্দুস সালাম, আব্দুল গফুর, শাহ আলম ইলিয়াস কাঞ্চনসহ আরও আটজনকে চাকরিচ্যুত করে।

মানববন্ধনে শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়-

প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে সব শ্রমিকের বেতন স্কেল সংশোধনপূর্বক বেতন রিভিউ করে (পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ) বর্ধিত বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত ও অন্যান্য ভাতার বকেয়া মজুরিসহ প্রত্যেক শ্রমিককে সমুদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

বেতন স্কেল সংশোধন ও রিভিউ পূর্বক বার্ষিক অর্জিত ছুটির বেতন বাৎসরিক ২০ দিন হারে মোট বেতনের সমপরিমাণ অনুযায়ী বকেয়াসহ সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

অন্যায়ভাবে নোটিশ ছাড়া বিগত বছরে না দেওয়া বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে এবং শুরু থেকে বার্ষিক ৫% হারে প্রতি বছরের ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিপূর্বক বকেয়াসহ সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

শুরু থেকে ক্ষতিপূরণজনিত সাপ্তাহিক ছুটির বকেয়া বেতন ও ভাতার সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

পুনরায় অডিট করে শ্রম আইন মোতাবেক ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করে শ্রমিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শুরু থেকে বকেয়াসহ প্রদান করতে হবে।

শ্রম আইন মোতাবেক অধিকাল ভাতা (ওভার টাইম হিসেব করে) সমূদয় অর্থ প্রদান করতে হবে।

ট্রেড ইউনিয়ন করার দায়ে চাকরিচ্যুত আটজন শ্রমিক (মো. বদরুল আলম, মো. আব্দুস সালাম, মো. আব্দুল গফুর, ইলিয়াস কাঞ্চন, মো. শাহ আলম, মো. জিল্লুর রহমান, মো. হোসাইন আহম্মদ ও এমরানুল হক) চাকরি ফেরত দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অসময়ে কর্মী ছাটাই করা হলে প্রদেয় সুবিধার অধিক ক্ষতিপূরণ বাবদ কমপক্ষে ১০ বছরের ক্ষতিমূল্য প্রদান করতে হবে এবং অন্যান্য পাওনা থাকলে তা দিতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত