নড়াইলের তিনটি উপজেলা শহরে ঢিলেঢালা হরতালের কারনে ভোগান্তির শিকার হয়েছে পরিবহন-যাত্রীরা। হরতালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও প্রভাব পড়েছে পরিবহনে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ছে ধীরগতিতে। হরতালের কারণে যাত্রীসংখ্যা খুবই কম হওয়ায় ঢাকাগামী পরিবহন বাসগুলো ছাড়েনি।
নড়াইলের আভ্যন্তরীন রুটে বাস চলাচল করলেও নড়াইল-যশোর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। যারা বিপদে পড়ে যাচ্ছেন তাদের ভরসা ইজিবাইক। সেখানে কয়েকগুন ভাড়া দিয়ে তারা যাচ্ছেন,দুরের যাত্রীরা অনিশ্চিতভাবে রওনা হয়েছেন।
নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় যশোর যাবার জন্য যাত্রীদের ভীড়। ইজিবাইকে করে যাচ্ছেন সবাই,কেউ বা ফিরে যাচ্ছেন নিজ বাড়িতে।
সাতক্ষীরা যাবার উদ্দেশ্যে আত্মীয়বাড়ি থেকে বের হয়ে বিপাকে পড়েন নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন,আমি সাতক্ষীরা যাবো কিভাবে জানিনা। এখান থেকে ইজিবাইকে করে যশোর, তারপর যেভাবে পারবো সেভাবে যাব।
নড়াইল থেকে প্রতি ২০ মিনিট পরপর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহন। এখানকার ম্যানেজার লুইস হোসেন বলেন,আজকে যাত্রী রাস্তায় নেই। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২৫টা গাড়ি ছাড়ার কথা। আজ ছেড়েছি মাত্র ৫টা,তাও অর্ধেক যাত্রী।
দোকানপাট স্বাভাবিক দিনের মতোই খোলা। হরতালের সমর্থনে বিএনপি বা কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। আওয়ামীলীগের দখলে ছিলো পুরো শহর।
নড়াইলে শান্তি সমাবেশ না হলেও বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগের হরতাল বিরোধী পদযাত্রা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাহাড়া দিতে দেখা গেছে।
নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু বলেন,আমরা হরতাল-নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথে আছি।
নড়াইল জেলা বিএনপি সাধরণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ও ভাঙ্গা থেকে আমাদের দুইজন নেতাকে পুলিশ আটক করেছে।