বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা, পাত্তা পেল না শ্রীলঙ্কাও

স্পোর্টস ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা, পাত্তা পেল না শ্রীলঙ্কাও

ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে শ্রীলংকাকে হারাল আফগানরা। এই জয়ে ৬ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠলো আফগানিস্তান। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেল শ্রীলংকা।

আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি ও স্পিনার মুজিব উর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে শ্রীলংকাকে ২৪১ রানে অলআউট করে আফগানিস্তান। ফারুকি চারটি ও মুজিব দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮ বল বাকী থাকতে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। রহমত শাহ ৬২, হাসমতুল্লাহ শাহিদি ৫৮ ও আজমতুল্লাহ ওমারজাই ৭৩ রান করেন। ম্যাচ সেরা হন ফারুকি।

পুনেতে টস জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেনি শ্রীলংকার ওপেনাররা। ষষ্ঠ ওভারে আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোর আউট হবার আগে ১৫ রান করেন দিমুথ করুনারত্নে।

দলীয় ২২ রনে দিমুথ করুনারত্নে ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। টানা পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬ রানে থামেন পাঁচটি বাউন্ডারি মারা নিশাঙ্কা। মেন্ডিসের সঙ্গে ৭৭ বলে ৬২ রান যোগ করে পেসার আজমতুল্লাহ ওমরাজাইর শিকার হন নিশাঙ্কা।

নিশাঙ্কার পর সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গেও হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন মেন্ডিস। ৫৭ বলে গড়ে ওঠা ৫০ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন স্পিনার মুজিব উর রহমান। তিনটি চারে ৩৯ রানে বিদায় নেন মেন্ডিস।

মেন্ডিসকে শিকারের পর তিনটি চারে ৩৬ রান করা সামারাবিক্রমাও শিকার হন মুজিবের। ৫ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলংকা। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ১৪ রানে স্পিনার রশিদ খান এবং চারিথ আসালঙ্কাকে ২২ রানে শিকার করেন ফারুকি। ১ রানে আউট হন দুসমন্থা চামিরা। ১৮৫ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ২০০-এর নিচে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা। কিন্তু সেটি হতে দেননি ম্যাথুজ-মহেশ থিকশানা। অষ্টম উইকেটে ৪২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

৪৭তম ওভারে থিকশানাকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন ফারুকি। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ বলে ২৯ রান করেন থিকশানা। থিকশানার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়া ম্যাথুজকে ৪৯তম ওভারে থামান ফারুকি। দলীয় ২৩৯ রানে মোহাম্মদ নবির দারুণ ক্যাচে আউট হওয়ার আগে একটি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ২৩ রান করেন অভিজ্ঞ ম্যাথুজ।

শেষ পর্যন্ত ইনিংসের তিন বল বাকী থাকতে ২৪১ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রান লংকানদের। আফগানিস্তানের পক্ষে ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৩৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন মুজিব। একটি করে উইকেট নেন ওমরজাই ও রশিদ।

২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। বাঁ-হাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে খালি হাতে ফিরেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৯৭ বলে ৭৩ রানে জুটি গড়েন তারা। মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাদরান।

জাদরান ফেরার পর রহমতকে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। ইনিংসের ২৫তম ওভারে ওয়ানডেতে ২৫তম ও টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৬১ বল খেলা রহমত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা, পাত্তা পেল না শ্রীলঙ্কাও

বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা, পাত্তা পেল না শ্রীলঙ্কাও

ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে আফগানিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে শ্রীলংকাকে হারাল আফগানরা। এই জয়ে ৬ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠলো আফগানিস্তান। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেল শ্রীলংকা।

আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি ও স্পিনার মুজিব উর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে শ্রীলংকাকে ২৪১ রানে অলআউট করে আফগানিস্তান। ফারুকি চারটি ও মুজিব দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮ বল বাকী থাকতে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। রহমত শাহ ৬২, হাসমতুল্লাহ শাহিদি ৫৮ ও আজমতুল্লাহ ওমারজাই ৭৩ রান করেন। ম্যাচ সেরা হন ফারুকি।

পুনেতে টস জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারেনি শ্রীলংকার ওপেনাররা। ষষ্ঠ ওভারে আফগানিস্তান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোর আউট হবার আগে ১৫ রান করেন দিমুথ করুনারত্নে।

দলীয় ২২ রনে দিমুথ করুনারত্নে ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। টানা পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬ রানে থামেন পাঁচটি বাউন্ডারি মারা নিশাঙ্কা। মেন্ডিসের সঙ্গে ৭৭ বলে ৬২ রান যোগ করে পেসার আজমতুল্লাহ ওমরাজাইর শিকার হন নিশাঙ্কা।

নিশাঙ্কার পর সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গেও হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন মেন্ডিস। ৫৭ বলে গড়ে ওঠা ৫০ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন স্পিনার মুজিব উর রহমান। তিনটি চারে ৩৯ রানে বিদায় নেন মেন্ডিস।

মেন্ডিসকে শিকারের পর তিনটি চারে ৩৬ রান করা সামারাবিক্রমাও শিকার হন মুজিবের। ৫ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলংকা। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ১৪ রানে স্পিনার রশিদ খান এবং চারিথ আসালঙ্কাকে ২২ রানে শিকার করেন ফারুকি। ১ রানে আউট হন দুসমন্থা চামিরা। ১৮৫ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ২০০-এর নিচে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা। কিন্তু সেটি হতে দেননি ম্যাথুজ-মহেশ থিকশানা। অষ্টম উইকেটে ৪২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

৪৭তম ওভারে থিকশানাকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন ফারুকি। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ বলে ২৯ রান করেন থিকশানা। থিকশানার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়া ম্যাথুজকে ৪৯তম ওভারে থামান ফারুকি। দলীয় ২৩৯ রানে মোহাম্মদ নবির দারুণ ক্যাচে আউট হওয়ার আগে একটি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ২৩ রান করেন অভিজ্ঞ ম্যাথুজ।

শেষ পর্যন্ত ইনিংসের তিন বল বাকী থাকতে ২৪১ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রান লংকানদের। আফগানিস্তানের পক্ষে ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভারে ৩৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন মুজিব। একটি করে উইকেট নেন ওমরজাই ও রশিদ।

২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। বাঁ-হাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়ে খালি হাতে ফিরেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ৯৭ বলে ৭৩ রানে জুটি গড়েন তারা। মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাদরান।

জাদরান ফেরার পর রহমতকে নিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। ইনিংসের ২৫তম ওভারে ওয়ানডেতে ২৫তম ও টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৬১ বল খেলা রহমত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত