নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনের সময় আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সমস্ত বিভাগগুলোর ক্ষেত্রে যার যেটা করণীয় সে বিষয়টি তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনাররা সে বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কমিশন অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে তাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা সবাই আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন কমিশন তাদের কাছে যে সহায়তা প্রত্যাশা করবেন তা তারা অবশ্যই দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের যে সময়সীমা আছে তার মধ্যে আয়োজনে বদ্ধ পরিকর। এ আয়োজনটা যেনো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয় তাই এই নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দপ্তর, সংস্থা, বিভাগ, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের প্রধানদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে সিভিল এডমেনিস্ট্রেশনের বিভিন্ন সিনিয়র সচিব, সচিব, মহাপরিচালক, দপ্তর প্রধান ও প্রধান প্রকৌশলীদের সঙ্গে সভা হয়েছে।’
সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমূহের যা কিছু করনীয় আছে সে বিষয়গুলো তাদেরকে অবহিত করা এবং নতুন যে বিধি বিধানগুলো হয়েছে তার আলোকে তাদেরকে নতুন কি করতে হবে সে বিষয়টি তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ২৯ জন কর্মকর্তা তাদের বক্তব্য রেখেছেন। বৈঠকে ১১ টি এজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে কোনটি বেশি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা আলোচনার জন্য গাইডলাইন রেখেছিলাম। এখানে এজেন্ডা ধরতে গেলে ১১টার জায়গায় ১২০টা হতে পারে। কারণ হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ও মেরামতের বিষয়গুলো রয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের বিষয়গুলো রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের প্রবাসী নাগরিকদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। পোস্টাল ব্যালটের সিস্টেম রয়েছে। দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়টি রয়েছে। সবগুলো বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পোস্টাল ব্যালটে আইনের আলোতে শুধু এবার নয়, সব সময়ই ভোট দিতে পেরেছেন। এবারও ভোট দিতে পারবেন। বিদেশে যে বাংলাদেশি মিশনগুলো রয়েছেন তাদের মাধ্যমে এটা নোটিফিকেশনের আকারে ঐ দেশের বাংলাদেশি যারা ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত নাগরিক রয়েছেন তারা যদি ভোট দিতে উৎসাহিত হয় তবে তারা কি পদ্ধতিতে ভোট দিবে সেই বার্তাটা তাদের জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’
দূর্গম এলাকায় ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয় জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এটি আরো অনেক পরের কাজ।’