নেতারা কারাগারে-আত্মগোপনে, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ ইসির

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
নেতারা কারাগারে-আত্মগোপনে, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ ইসির

আগামী ৪ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে বিএনপিকে আবারও সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই আমন্ত্রণ এমন সময় জানানো হলো, যখন বিএনপির কার্যত প্রধান নেতা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও আলালের মতো নেতারা কারাবন্দি। এছাড়া ইশরাক হোসেনসহ অনেক নেতাই আছেন আত্মগোপনে।

সংলাপে অংশ নিতে বিএনপির পাশাপাশি নিবন্ধিত অন্যান্য দলকে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বুধবার (১ নভেম্বর) এ চিঠি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে ইসি। কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে চিঠি দিয়েছিল ইসি। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও সংলাপের জন্য একটি ডিও লেটার (ডেমি-অফিসিয়াল লেটার) পাঠিয়েছেন।

তবে ইসির আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপি। বরং তারা ইসি পুনর্গঠন করতে চায় বলে জানায়।

বিএনপি মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, “নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ নির্বাচনের প্রধান শরিকদের নিয়ে ৪ নভেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, “সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ও নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। কমিশন দলের মাননীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা দলের মনোনীত দুজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে ওই বৈঠকে অংশ নিতে অনুরোধ করেছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। নির্বাচন কমিশনাররা সভায় উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা মনোনীত দুজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আলোচনা অনুষ্ঠানে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে এবং জানুয়ারির শুরুতে তা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি সমাবেশ ডাকে। সমাবেশ থেকে ঢাকায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ধারাবাহিক কর্মসূচি আহ্বান করে দলটি। এরইমধ্যে সংঘাতের জেরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার কারাগারে পাঠানো হয়। বুধবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন আদালত।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অজ্ঞাত স্থান থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করছেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নেতারা কারাগারে-আত্মগোপনে, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ ইসির

নেতারা কারাগারে-আত্মগোপনে, বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ ইসির

আগামী ৪ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে বিএনপিকে আবারও সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই আমন্ত্রণ এমন সময় জানানো হলো, যখন বিএনপির কার্যত প্রধান নেতা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও আলালের মতো নেতারা কারাবন্দি। এছাড়া ইশরাক হোসেনসহ অনেক নেতাই আছেন আত্মগোপনে।

সংলাপে অংশ নিতে বিএনপির পাশাপাশি নিবন্ধিত অন্যান্য দলকে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বুধবার (১ নভেম্বর) এ চিঠি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে ইসি। কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে চিঠি দিয়েছিল ইসি। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও সংলাপের জন্য একটি ডিও লেটার (ডেমি-অফিসিয়াল লেটার) পাঠিয়েছেন।

তবে ইসির আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপি। বরং তারা ইসি পুনর্গঠন করতে চায় বলে জানায়।

বিএনপি মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, “নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ নির্বাচনের প্রধান শরিকদের নিয়ে ৪ নভেম্বর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, “সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ও নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। কমিশন দলের মাননীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা দলের মনোনীত দুজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে ওই বৈঠকে অংশ নিতে অনুরোধ করেছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। নির্বাচন কমিশনাররা সভায় উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা মনোনীত দুজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আলোচনা অনুষ্ঠানে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে এবং জানুয়ারির শুরুতে তা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণনা।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি সমাবেশ ডাকে। সমাবেশ থেকে ঢাকায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ধারাবাহিক কর্মসূচি আহ্বান করে দলটি। এরইমধ্যে সংঘাতের জেরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার কারাগারে পাঠানো হয়। বুধবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন আদালত।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অজ্ঞাত স্থান থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করছেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত