বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩০৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। এতে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
অবশ্য শুরুটা করেছিলেন দুই ওপেনার মিলে। বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে উঠে তানজিদ তামিম-লিটনের ব্যাটে।
দুজনে ব্যাট করছেন কামিন্স-হ্যাজলউডদের চোখে চোখ রেখে। ফলশ্রুতিতে আসরে প্রথমবারের মতো পঞ্চাশোর্ধ রান আসে উদ্বোধনী জুটিতে। পাওয়ার প্লেতে হারায়নি কোনো উইকেট।
তবে দু’জনের কেউ ইনিংস টানতে পারেননি। ভালো শুরু পেয়েও খেই হারিয়েছেন হঠাৎ। বড় ইনিংস খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই ফিরেছেন দু’জনে। তামিমের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১১.২ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ফেরেন তিনি। কামিন্সের শর্ট বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তার হাতেই।
৩৪ বলে ৩৬ রানে আউট হন তামিম। সমান ৩৬ রানে ফেরেন লিটন দাসও। ততক্ষণে অবশ্য দলের সংগ্রহ ছুঁয়েছে তিন অংকের ঘর। ১৬.৪ ওভারে ১০৬ রানের মাথায় ফেরেন জাম্পার শিকার হয়ে।
তিনে নামা নাজমুল শান্ত ধরে রাখেন ভালো শুরুর ধারাবাহিকতা। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন দারুণ যুগলবন্দী। ৬৮ বলের জুটিতে আসে ৬৪ রান। জুট ভাঙে শান্তের বিদায়ে। ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ তারও হয়েছে সাথী। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায় টলাতে পারেনি মনোবল। ৭৯ বলে ৭৪ রান করে থেমেছেন হৃদয়। উল্টো উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন এই ব্যাটার।