দেশে কর্মরত নার্সদের ৭০% লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
দেশে কর্মরত নার্সদের ৭০% লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার
প্রতীকী ছবি/ ফাইল ছবি/ সংগৃহীত

নারীর প্রতি সহিংসতা এখনো একটি সামাজিক সমস্যারই নামান্তর। বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। ২০২২ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের শিকার হন সাড়ে ৪ লাখ নারী। এশিয়ায় ওই বছরে এ ধরনের সহিংসতার শিকার আনুমানিক ১৭,৮০০ নারী।

২০১৫ সালে অ্যাকশন এইডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাতটি শহরের ৮৪% নারী কটূক্তি ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মৌখিক হেনস্তার শিকার, ৫৭% যৌন হেনস্তার কবলে পড়েছেন এবং ২২% পূর্ববর্তী বছরে ধর্ষিত হওয়ার ভয় নিয়ে দিন পার করেছেন।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, দেশব্যাপী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে ৪৪ হাজার নার্স কাজ করেন। তাদের মধ্যে ২৬ হাজার গর্ভবতী মা ও শিশুদের সেবায় নিয়োজিত। দেশের ১,২৬৪ জন রেজিস্টার্ড নার্সের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কোভিড মহামারির মধ্যে তাদের ৭০% কর্মস্থলে সহিসংতার শিকার হয়েছেন এবং ১৪.৮% মৌখিক হেনস্তার কবলে পড়েছেন।

এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে চান না, অভিযোগ করতেও ভয় পান তারা। প্রতিবেদনে উঠে আসে, গত ছয় বছরে এ ধরনের ঘটনার মাত্র চারটি অভিযোগ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, নার্সরা মনে করেন অভিযোগ করলে উল্টো বিপদে পড়তে হতে পারে তাদের। এমনকি অভিযোগ করার পরে ফের হেনস্তার শিকার হন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জোর দিয়ে বলেন, নার্সিং, মিডওয়াইফারির মতো পেশায় নিযুক্ত নারীদের একটি বড় অংশ কর্মস্থলে সহিংসতার শিকার। বাংলাদেশে কর্মস্থলে হেনস্তা ও যৌন হয়রানি সংক্রান্ত সামষ্টিক তথ্যের অপ্রতুলতা রয়েছে। সহকর্মী, রোগী ও তাদের আত্মীয়দের নার্সদের শারীরিক লাঞ্ছনা এবং হুমকি কর্মস্থলে সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত।

সম্প্রতি “ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট উইমেন অ্যান্ড ইম্প্যাক্ট অন প্রফেশনাল লাইফ অব নার্সেস”-শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে। এর আয়োজন করে প্রোনার্স প্রজেক্ট, কোওয়াটার ইন্টারন্যাশনাল। ঢাকা ট্রিবিউনের সঙ্গে যৌথভাবে এতে সহায়তা করে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা।

২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল দিবস থেকে ১৬ দিনের এক কর্মসূচি শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারণা। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে শেষ হবে এই কর্মসূচি।

২০১৯ সালে প্রকাশিত হিউম্যান রিসোর্সেস ফর হেলথ-এর তথ্য বলছে, বাংলাদেশে কর্মরত নার্সদের ৯৪%-ই নারী। অর্থাৎ তারা স্বাস্থ্যসেবাখাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রোনার্সের ন্যাশনাল জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি স্পেশালিস্ট ডা. সেলিনা আহমেদ নার্সিং পেশায় নারীর প্রতি সহিংসতার রূঢ় বাস্তবতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এ কারণে পুরো স্বাস্থ্যসেবাখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মনে করেন তিনি।

gender-roundtable
৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা/মেহেদি হাসান/ঢাকা ট্রিবিউন
তিনি আরও বলেন, পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নার্সিং পেশায় নিযুক্ত নারীরা এই প্রতিকূলতা থেকে মুক্ত নন। তারা শারীরিক, লৈঙ্গিক এবং মানসিক হয়রানির মধ্য দিয়ে যান।

প্রোনার্স প্রজেক্টের টিম লিডার সেলিনা আমিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।

মিলেনিয়াম নার্সিং ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ও ঢামেক হাসপাতালের সাবেক নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট শিখা বিশ্বাস বলেন, বদলি, উচ্চশিক্ষা, ফরোয়ার্ডিং, নাইট ডিউটি শিফটিং, প্লেসমেনট, মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে অনেক নার্সই জ্যেষ্ঠ সহকর্মীর কাছে হেনস্তার শিকার হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অধ্যাপক কামাল চৌধুরী কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভিত্তিক সমতার ওপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, নারী ও পুরুষ কর্মীদের মধ্যে পদবীতে সাম্য বজায় রাখা জরুরি।

এনআইএএনইআর-এর পরিচালক তাসলিমা বেগম নার্সিং পেশায় অংশগ্রহণের অনুপাতে উন্নয়ন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য এ পেশায় নিযুক্ত নারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকায় কানাডীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (ডেভলপমেন্ট) এডওয়ার্ড ক্যাবরেরা অনুষ্ঠানে তার বোনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। ক্যাবরের বোন কানাডায় একজন গ্র্যাজুয়েট নার্স। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে চলমান ১৬ দিনের কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ প্রতিনিয়ত নেওয়া উচিত বলে মত দেন।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নুর কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগের কথা জানান। দুর্যোগ, যুদ্ধ ও সংঘাতে নারীর নাজুক পরিস্থিতির কথা সামনে এনে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সহানুভূতির শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন সরকারের এই কর্মকর্তা। তার মতে, দেশে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা সমস্যা সমাধানের বড় অন্তরায়। পাশাপাশি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরুষের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দেশে কর্মরত নার্সদের ৭০% লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার

দেশে কর্মরত নার্সদের ৭০% লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার
প্রতীকী ছবি/ ফাইল ছবি/ সংগৃহীত

নারীর প্রতি সহিংসতা এখনো একটি সামাজিক সমস্যারই নামান্তর। বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার। ২০২২ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের শিকার হন সাড়ে ৪ লাখ নারী। এশিয়ায় ওই বছরে এ ধরনের সহিংসতার শিকার আনুমানিক ১৭,৮০০ নারী।

২০১৫ সালে অ্যাকশন এইডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাতটি শহরের ৮৪% নারী কটূক্তি ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মৌখিক হেনস্তার শিকার, ৫৭% যৌন হেনস্তার কবলে পড়েছেন এবং ২২% পূর্ববর্তী বছরে ধর্ষিত হওয়ার ভয় নিয়ে দিন পার করেছেন।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, দেশব্যাপী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে ৪৪ হাজার নার্স কাজ করেন। তাদের মধ্যে ২৬ হাজার গর্ভবতী মা ও শিশুদের সেবায় নিয়োজিত। দেশের ১,২৬৪ জন রেজিস্টার্ড নার্সের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কোভিড মহামারির মধ্যে তাদের ৭০% কর্মস্থলে সহিসংতার শিকার হয়েছেন এবং ১৪.৮% মৌখিক হেনস্তার কবলে পড়েছেন।

এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে চান না, অভিযোগ করতেও ভয় পান তারা। প্রতিবেদনে উঠে আসে, গত ছয় বছরে এ ধরনের ঘটনার মাত্র চারটি অভিযোগ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, নার্সরা মনে করেন অভিযোগ করলে উল্টো বিপদে পড়তে হতে পারে তাদের। এমনকি অভিযোগ করার পরে ফের হেনস্তার শিকার হন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জোর দিয়ে বলেন, নার্সিং, মিডওয়াইফারির মতো পেশায় নিযুক্ত নারীদের একটি বড় অংশ কর্মস্থলে সহিংসতার শিকার। বাংলাদেশে কর্মস্থলে হেনস্তা ও যৌন হয়রানি সংক্রান্ত সামষ্টিক তথ্যের অপ্রতুলতা রয়েছে। সহকর্মী, রোগী ও তাদের আত্মীয়দের নার্সদের শারীরিক লাঞ্ছনা এবং হুমকি কর্মস্থলে সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত।

সম্প্রতি “ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট উইমেন অ্যান্ড ইম্প্যাক্ট অন প্রফেশনাল লাইফ অব নার্সেস”-শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে। এর আয়োজন করে প্রোনার্স প্রজেক্ট, কোওয়াটার ইন্টারন্যাশনাল। ঢাকা ট্রিবিউনের সঙ্গে যৌথভাবে এতে সহায়তা করে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা।

২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল দিবস থেকে ১৬ দিনের এক কর্মসূচি শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারণা। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে শেষ হবে এই কর্মসূচি।

২০১৯ সালে প্রকাশিত হিউম্যান রিসোর্সেস ফর হেলথ-এর তথ্য বলছে, বাংলাদেশে কর্মরত নার্সদের ৯৪%-ই নারী। অর্থাৎ তারা স্বাস্থ্যসেবাখাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রোনার্সের ন্যাশনাল জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি স্পেশালিস্ট ডা. সেলিনা আহমেদ নার্সিং পেশায় নারীর প্রতি সহিংসতার রূঢ় বাস্তবতার দিকে আঙুল তুলেছেন। এ কারণে পুরো স্বাস্থ্যসেবাখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মনে করেন তিনি।

gender-roundtable
৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা/মেহেদি হাসান/ঢাকা ট্রিবিউন
তিনি আরও বলেন, পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নার্সিং পেশায় নিযুক্ত নারীরা এই প্রতিকূলতা থেকে মুক্ত নন। তারা শারীরিক, লৈঙ্গিক এবং মানসিক হয়রানির মধ্য দিয়ে যান।

প্রোনার্স প্রজেক্টের টিম লিডার সেলিনা আমিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।

মিলেনিয়াম নার্সিং ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ও ঢামেক হাসপাতালের সাবেক নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট শিখা বিশ্বাস বলেন, বদলি, উচ্চশিক্ষা, ফরোয়ার্ডিং, নাইট ডিউটি শিফটিং, প্লেসমেনট, মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে অনেক নার্সই জ্যেষ্ঠ সহকর্মীর কাছে হেনস্তার শিকার হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অধ্যাপক কামাল চৌধুরী কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভিত্তিক সমতার ওপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, নারী ও পুরুষ কর্মীদের মধ্যে পদবীতে সাম্য বজায় রাখা জরুরি।

এনআইএএনইআর-এর পরিচালক তাসলিমা বেগম নার্সিং পেশায় অংশগ্রহণের অনুপাতে উন্নয়ন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার জন্য এ পেশায় নিযুক্ত নারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকায় কানাডীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (ডেভলপমেন্ট) এডওয়ার্ড ক্যাবরেরা অনুষ্ঠানে তার বোনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। ক্যাবরের বোন কানাডায় একজন গ্র্যাজুয়েট নার্স। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে চলমান ১৬ দিনের কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ প্রতিনিয়ত নেওয়া উচিত বলে মত দেন।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নুর কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোগের কথা জানান। দুর্যোগ, যুদ্ধ ও সংঘাতে নারীর নাজুক পরিস্থিতির কথা সামনে এনে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সহানুভূতির শিক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন সরকারের এই কর্মকর্তা। তার মতে, দেশে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা সমস্যা সমাধানের বড় অন্তরায়। পাশাপাশি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরুষের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত