দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনী চায় নির্বাচন কমিশন।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পিএসও ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হোক। নির্বাচন কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে জানাবেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবো।’
তিনি জানান, ২৯ শে ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি ১৩ দিন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন চায় ইসি।
সেনাবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) থাকবে কিনা তা নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
এর আগে ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারনে ২০০৮ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিলো। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছিলো।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে ১০ দিন বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হয়।
২০১৮ সালের ওই নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) দিয়ে সেনা মোতায়েন চাইলেও সেটি হয়নি।
এবারও সশস্ত্র বাহিনী ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে থাকবে বলে জানান সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগের পিএসও।