খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় লিজ দিলেন কর্মকর্তা

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় লিজ দিলেন কর্মকর্তা
ছ‌বি প্রতি‌নিধি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সংলগ্ন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের জায়গা লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

অফিস আঙ্গিনার সেই জায়গায় ধান, শাক-সবজি সহ বিভিন্ন তরি-তরকারী লাগিয়েছেন লিজ গ্রহীতা।

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের বড়বাবু এস এম সৈয়াদার রহমান সাংবাদিকদের কাছে লিজ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকরে করেছেন। তবে জায়গা বর্গা (ভাগে দেওয়া) দেওয়া হয়েছে এমন তথ্য দেওয়ায় তাকে সাংবাদিকদের সামনেই বকাঝকা করেন সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ নাজমুস সাবিক।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, অফিস আঙ্গিনায় পাওয়ার টিলার দিয়ে ধান রোপনের জন্য চলছে প্রস্তুতি। একপাশে করা হয়েছে ধানের বীজতলা। তার এক পাশে রোপণ করা হয়েছে শাক-সবজি সহ তরি-তরকারি।

স্থানীয় রাবেয়া বলেন, আমরা দেখছি কয়েক বছর ধরে আরিজুল অফিসের জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে চাষাবাদ করছে। তবে কত টকা দিয়ে লিজ নিয়েছে সেটি আমার জানা নেই।

স্থানীয়ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রসুলপুর এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে আরিজুল ইসলামের কাছে খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের আঙ্গিনায় থাকা খালি জায়গা লীজ দিয়েছেন। লিজ বাবদ আরিজুল প্রতিবছর এক লক্ষ টাকা দিতে হয় খামার ব্যবস্থাপক কে।

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের বড়বাবু এস এম সৈয়াদার রহমান বলেন, এ বছর প্রথম এই জায়গায় তার চাষাবাদ করা হচ্ছে। জায়গা লিজ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, আরিজুল নামের এক ব্যক্তিকে খাবার ব্যবস্থাপক স্যার এই জায়গা বর্গা দিয়েছেন। সে উৎপাদিত ফসলের চার ভাগের এক ভাগ আমাদেরকে দিবেন।

তবে কি ভাবে সরকারি এই জায়গা বর্গা দেওয়া হয়েছে? এবং লাভংশ কিভাবে ব্যয় হবে? তিনি এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি।

লিজ নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে লিজ নেওয়া আরিজুল ইসলাম বলেন, আমি খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে ধান, শাকসবজি ও তরকারি রোপন করেছি। বিনিময়ে প্রতিদিনের পারিশ্রমিক প্রতিদিন নিয়ে থাকি।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার এবং সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ নাজমুস সাবিক বলেন, আমরা কাউকে অফিস আঙ্গিনার কোন জায়গা লিজ দেয়নি। সরকারি জায়গায় লিজ দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোন জায়গা ফাঁকা রাখা যাবে না। সব জায়গায় চাষাবাদ করতে হবে”। সেই নির্দেশনা মেনেই আমাদের স্টাফদের সহযোগিতায় সকলে মিলে আমরা অফিস আঙ্গিনায় চাষাবাদ করছি।

কর্মকর্তার কথা অনুযায়ী, সকলে মিলে চাষ করা এই ফসল কিভাবে ভাগ হবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধতণ কর্মকর্তারা অবগত রয়েছে। কিভাবে ভাগ হবে এসব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সকলে খরচ করে এখন চাষাবাদ করছি। পরবর্তীতে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এবিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ জানান, ওটা সরকারি জায়গা। সেখানে মুরগী প্রজনন করা হয়। এই জায়গা ভাড়া দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় লিজ দিলেন কর্মকর্তা

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় লিজ দিলেন কর্মকর্তা
ছ‌বি প্রতি‌নিধি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সংলগ্ন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের জায়গা লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

অফিস আঙ্গিনার সেই জায়গায় ধান, শাক-সবজি সহ বিভিন্ন তরি-তরকারী লাগিয়েছেন লিজ গ্রহীতা।

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের বড়বাবু এস এম সৈয়াদার রহমান সাংবাদিকদের কাছে লিজ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকরে করেছেন। তবে জায়গা বর্গা (ভাগে দেওয়া) দেওয়া হয়েছে এমন তথ্য দেওয়ায় তাকে সাংবাদিকদের সামনেই বকাঝকা করেন সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ নাজমুস সাবিক।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, অফিস আঙ্গিনায় পাওয়ার টিলার দিয়ে ধান রোপনের জন্য চলছে প্রস্তুতি। একপাশে করা হয়েছে ধানের বীজতলা। তার এক পাশে রোপণ করা হয়েছে শাক-সবজি সহ তরি-তরকারি।

স্থানীয় রাবেয়া বলেন, আমরা দেখছি কয়েক বছর ধরে আরিজুল অফিসের জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে চাষাবাদ করছে। তবে কত টকা দিয়ে লিজ নিয়েছে সেটি আমার জানা নেই।

স্থানীয়ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রসুলপুর এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে আরিজুল ইসলামের কাছে খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের আঙ্গিনায় থাকা খালি জায়গা লীজ দিয়েছেন। লিজ বাবদ আরিজুল প্রতিবছর এক লক্ষ টাকা দিতে হয় খামার ব্যবস্থাপক কে।

খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের বড়বাবু এস এম সৈয়াদার রহমান বলেন, এ বছর প্রথম এই জায়গায় তার চাষাবাদ করা হচ্ছে। জায়গা লিজ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, আরিজুল নামের এক ব্যক্তিকে খাবার ব্যবস্থাপক স্যার এই জায়গা বর্গা দিয়েছেন। সে উৎপাদিত ফসলের চার ভাগের এক ভাগ আমাদেরকে দিবেন।

তবে কি ভাবে সরকারি এই জায়গা বর্গা দেওয়া হয়েছে? এবং লাভংশ কিভাবে ব্যয় হবে? তিনি এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি।

লিজ নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে লিজ নেওয়া আরিজুল ইসলাম বলেন, আমি খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে ধান, শাকসবজি ও তরকারি রোপন করেছি। বিনিময়ে প্রতিদিনের পারিশ্রমিক প্রতিদিন নিয়ে থাকি।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার এবং সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ নাজমুস সাবিক বলেন, আমরা কাউকে অফিস আঙ্গিনার কোন জায়গা লিজ দেয়নি। সরকারি জায়গায় লিজ দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোন জায়গা ফাঁকা রাখা যাবে না। সব জায়গায় চাষাবাদ করতে হবে”। সেই নির্দেশনা মেনেই আমাদের স্টাফদের সহযোগিতায় সকলে মিলে আমরা অফিস আঙ্গিনায় চাষাবাদ করছি।

কর্মকর্তার কথা অনুযায়ী, সকলে মিলে চাষ করা এই ফসল কিভাবে ভাগ হবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধতণ কর্মকর্তারা অবগত রয়েছে। কিভাবে ভাগ হবে এসব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সকলে খরচ করে এখন চাষাবাদ করছি। পরবর্তীতে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এবিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ জানান, ওটা সরকারি জায়গা। সেখানে মুরগী প্রজনন করা হয়। এই জায়গা ভাড়া দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত