মেহেরপুর-১ আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ হোসেন। আগের মন্ত্রিপরিষদে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এবার একধাপ এগিয়ে তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হতে চলেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে তিনি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিচয় দিয়েছেন।
তার মাধ্যমে জেলাটি প্রথম মন্ত্রিত্বের স্বাদ পায় ফরহাদ হোসেনের মাধ্যমে। এবার পূর্ণ মন্ত্রিত্বের অলংকার যোগ হবে মেহেরপুর জেলার ইতিহাসে। ফরহাদ হোসেনকে পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদে শপথগ্রহণের জন্য আহ্বান করা হয়েছে তাকে।
ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর সদর উপজেলার বোসপাড়া এলাকায় ৫ জুন ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছহিউদ্দীন বিশ্বাস। তিনি তৎকালীন কুষ্টিয়া-৫ ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০২২ সালে ছহিউদ্দিনকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তার ছেলে ফরহাদ হোসেন বিএল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়ন করেন। তিনি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেই সূত্র ধরেই তিনি রাজনীতিতে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন।
ফরহাদ হোসেন বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি প্রথম ২০১৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেহেরপুর-১ আসনে জয়লাভ করেন। পরে ২০১৮ সালে জয়লাভ করলে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাতিজি সৈয়দ মোনালিসা ইসলাম শিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০০৪ সালে। তার স্ত্রী শিলা স্থানীয় জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি। সামিন ও মাহিন নামে তার দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।