নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী রাজ পরিবারের রাজা সেগুন আরেমুকে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। এ সময় রানিসহ আরেকজনকে অপহরণ করা হয় বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোয়ারা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সেগুন আরেমু একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, পূর্বপুরুষের মত তিনি রাজা উপাধি ধারণ করেন। তার আনুষ্ঠানিক উপাধি কোরোর ওলুকোরো।
তবে কে বাঁ কারা তাকে হত্যা করেছে, তারা কোনো মুক্তিপণ দাবি করছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
নাইজেরিয়ায় অপহরণের ঘটনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা জারির দাবি ওঠার দিন কয়েকের মধ্যে এই হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটল।
২০২৩ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বোলা টিনুবু। এরপর থেকে অন্তত ১,৮০০ এর বেশি মানুষ অপহৃত হয়েছে। এর জেরে, সুশীল সমাজের ৫০টি সংগঠন দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়েছে।
তবে নাইজেরিয়ার ঝুঁকি পরামর্শদাতা এসবিএম ইন্টেলিজেন্স বলছে, অপহরণের সংখ্যা আসলে ৪,০০০ এরও বেশি হতে পারে।
রাজা আরেমু হত্যাকাণ্ডকে ‘বেপরোয়া, মর্মান্তিক ও জঘন্য; আখ্যা দিয়েছেন গভর্নর আব্দুল রহমান আব্দুল রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ীদের আটক করবে কর্তৃপক্ষ।
তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ সপ্তাহের শুরুতে অপহরণকারীরা কাছের একিতি রাজ্যে পাঁচ স্কুলশিশু এবং চার শিক্ষককে জিম্মি করে। তাদের মুক্তির জন্য ১০০ মিলিয়ন নাইরা (১১০,০০০ ডলার) মুক্তিপণ দাবি করে।
বুধবার রাতে রাজধানী আবুজার বোয়ারি শহরতলীতে অপহৃত হয়েছে এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। এই এলাকার কাছেই আরেকটি বাড়ি থেকে গতমাসে ছয় বোনকে তাদের বাবাসহ অপহারণ করা হয়েছিল।
মুক্তিপণ দিতে দেরির কারণে ওই ছয় বোনের একজনকে মেরে ফেলা হয়।
এছাড়া আবুজার আরেকটি শহরতলী কুবওয়ার চিকাকোরি এলাকায় সম্প্রতি দুই নারীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাদের মুক্তির জন্য ২৫,০০০ ডলার দাবি করে।
