মস্কোয় স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ভয়াবহ হামলা করে আইএস। হামলার পর আন্তর্জাতিক এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি দায় স্বীকার করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স হামলার কারণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান, তুর্কমেনিস্তান ও আফগানিস্তানের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত খোরাসান অঞ্চলে (পুরোনো নাম) সক্রিয় থাকা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘‘ইসলামিক স্টেট খোরাসান’’ বা আইএস এ হামলা চালিয়েছে। ২০১৪ সালের শেষ দিকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে এটির আবির্ভাব। চূড়ান্ত পর্যায়ের নৃশংসতা দেখিয়ে দ্রুতই বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে গোষ্ঠীটি। তবে বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা অনেকটাই কমতির দিকে।
প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ করা হয়। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সোফান সেন্টারের কলিন ক্লার্কের বক্তব্য তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। তিনি বলেন, ‘‘দুই বছর ধরেই রাশিয়াকে নিশানা করেছে আইএস-কে। তারা তাদের প্রচারণায় প্রায়ই পুতিনের সমালোচনা করে আসছে।’’
ওয়াশিংটনভিত্তিক আরেকটি প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘‘রাশিয়াকে নিয়মিতভাবে মুসলিমবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা একটি দেশ হিসেবে দেখে থাকে আইএস-কে।’’
‘‘আইএস-কে মস্কোর বিরুদ্ধে নিজস্ব অভিযোগের পক্ষে মধ্য এশিয়ার কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নিজেদের সদস্যর মতো বিবেচনা করে থাকে,’’ বলেন কুগেলম্যান।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা হামলা করেছে। এতে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, হামলাকারীরা গুলি করার পাশাপাশি বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ধসে পড়েছে হলের ছাদ।
এর আগে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছিল, এ হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। পরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ হয়।
এ ঘটনাকে ‘‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা’’ বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।