ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশি আগ্রহ বিসিবির!

স্পোর্টস ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশি আগ্রহ বিসিবির!
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থা-বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। বিশ্বের অনেক দেশের ক্রিকেট বোর্ডের তুলনামূলক বিসিবির আর্থিক অবস্থা বেশ উন্নত। মাত্র এক বছর আগেও ক্রিকেট বোর্ডের সম্পদ ছিল ৯৭২ কোটি টাকার।

এ ছাড়াও রাজউকের কাছ থেকে পূর্বাচলে ৩ হাজার ৭৩৬ শতাংশ জমি পেয়েছে বিসিবি। এতে এক লাখে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এরপরও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।

এ জন্য গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৩১ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএমে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের অনুমোদন নেওয়া হবে। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সনদ নিশ্চিত হয় বিসিবির। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এক যুগ আগে-২০১২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার সম্পদ ছিল বিসিবির। সে বছর আইসিসির কাছ থেকে সংস্থাটি পায় ১৩৭ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে আইসিসির কাছ থেকে অনুদান আসবে ২৩৮ কোটি টাকা।

নিজেদের ব্র্যান্ড ভেলু সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারায়, ২০২২-২৩ মৌসুমে স্পন্সরপিশ রাইটস থেকে বিসিবির আয় মাত্র ৩৮ কোটি টাকা। আর বিপিএল থেকে ২০২৩ সালে ৪৮ কোটি আসলে ব্যয় হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা।

ক্রিকেটারদের কেন্দ্র করেই হয় বিসিবির সব হিসাব-নিকাশ। বিসিবির গঠনতন্ত্রের ছয় অনুচ্ছেদের ৬.১৭ উপ ধারায় আছে ক্রিকেটারদের উন্নায়নে অর্থায়নের জন্য সরকার পৃষ্ঠপোষক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য উৎস হতে তহবিল সংগ্রহ এবং উদ্বৃত্ত তহবিলের ঝুঁকিহীন লাভজনক বিনিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ। মূলত এই অনুচ্ছেদেই আনা হচ্ছে বড় পরিবর্তন।

এর সঙ্গে এফডিআর ও প্রাইজবন্ড ক্রয় যুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো ব্যাংক লোন নেওয়া, এলসি খোলা অথবা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতি বন্ধক দেওয়া বা ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করা। এর পাশাপাশি সামাজিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা।

এ ছাড়া ৬.২০ অনুচ্ছেদে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। এক বা একাধিক ট্রাস্ট, কোম্পানি, সোসাইটি বা ফাউন্ডেশন গঠন করা। এবং সেগুলো বিসিবির যে কোনো শেয়ার বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনসাপেক্ষে পাদধিকারবলে বোর্ড সভাপতি, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুকূলে বরাদ্দকরণের কথা বলে সংশোধনী এজিমে উত্থাপন করা হবে।

এ সময়ে বিসিবি তাদের মোট আয় ধরেছে ৪৪৭ কোটি টাকা। আর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৮ কোটি টাকা। পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম-দ্য বোটের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আড়াইশ কোটি টাকা।

আগামী মৌসুমে বিপিএল থেকে আয় ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল-এসিসি থেকে ৪৩ কোটি, স্পন্সরশিপ থেকে ২৮ কোটি আর সাড়ে ১৭ টাকা ধরা হয়েছে টিভি রাইটস থেকে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশি আগ্রহ বিসিবির!

ব্যবসা-বাণিজ্যেই বেশি আগ্রহ বিসিবির!
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থা-বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। বিশ্বের অনেক দেশের ক্রিকেট বোর্ডের তুলনামূলক বিসিবির আর্থিক অবস্থা বেশ উন্নত। মাত্র এক বছর আগেও ক্রিকেট বোর্ডের সম্পদ ছিল ৯৭২ কোটি টাকার।

এ ছাড়াও রাজউকের কাছ থেকে পূর্বাচলে ৩ হাজার ৭৩৬ শতাংশ জমি পেয়েছে বিসিবি। এতে এক লাখে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এরপরও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।

এ জন্য গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৩১ মার্চ বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএমে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের অনুমোদন নেওয়া হবে। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সনদ নিশ্চিত হয় বিসিবির। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এক যুগ আগে-২০১২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার সম্পদ ছিল বিসিবির। সে বছর আইসিসির কাছ থেকে সংস্থাটি পায় ১৩৭ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে আইসিসির কাছ থেকে অনুদান আসবে ২৩৮ কোটি টাকা।

নিজেদের ব্র্যান্ড ভেলু সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারায়, ২০২২-২৩ মৌসুমে স্পন্সরপিশ রাইটস থেকে বিসিবির আয় মাত্র ৩৮ কোটি টাকা। আর বিপিএল থেকে ২০২৩ সালে ৪৮ কোটি আসলে ব্যয় হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা।

ক্রিকেটারদের কেন্দ্র করেই হয় বিসিবির সব হিসাব-নিকাশ। বিসিবির গঠনতন্ত্রের ছয় অনুচ্ছেদের ৬.১৭ উপ ধারায় আছে ক্রিকেটারদের উন্নায়নে অর্থায়নের জন্য সরকার পৃষ্ঠপোষক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য উৎস হতে তহবিল সংগ্রহ এবং উদ্বৃত্ত তহবিলের ঝুঁকিহীন লাভজনক বিনিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ। মূলত এই অনুচ্ছেদেই আনা হচ্ছে বড় পরিবর্তন।

এর সঙ্গে এফডিআর ও প্রাইজবন্ড ক্রয় যুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো ব্যাংক লোন নেওয়া, এলসি খোলা অথবা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতি বন্ধক দেওয়া বা ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করা। এর পাশাপাশি সামাজিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা।

এ ছাড়া ৬.২০ অনুচ্ছেদে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। এক বা একাধিক ট্রাস্ট, কোম্পানি, সোসাইটি বা ফাউন্ডেশন গঠন করা। এবং সেগুলো বিসিবির যে কোনো শেয়ার বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনসাপেক্ষে পাদধিকারবলে বোর্ড সভাপতি, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুকূলে বরাদ্দকরণের কথা বলে সংশোধনী এজিমে উত্থাপন করা হবে।

এ সময়ে বিসিবি তাদের মোট আয় ধরেছে ৪৪৭ কোটি টাকা। আর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৮ কোটি টাকা। পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম-দ্য বোটের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আড়াইশ কোটি টাকা।

আগামী মৌসুমে বিপিএল থেকে আয় ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল-এসিসি থেকে ৪৩ কোটি, স্পন্সরশিপ থেকে ২৮ কোটি আর সাড়ে ১৭ টাকা ধরা হয়েছে টিভি রাইটস থেকে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত