মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের রাজা।
এর আগে, এদিন ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা জানান ওয়াংচুকও।
স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকায় পৌঁছান।
এ সময় বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় অতিথি রাজা ওয়াংচুককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। তাকে স্বাগত জানানোর পর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় উভয় দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে তার দলীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন।
ভুটানের রাজার সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৩টি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। পরে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে ৩টি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।
সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল বুধবার (২৭ মার্চ) পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন এবং পরদিন ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।