সুন্দরবনের সান্নিধ্য পেতে সাতক্ষীরায় হাজারো পর্যটক

সুন্দরবনের সান্নিধ্য পেতে সাতক্ষীরায় হাজারো পর্যটক
ছবি: প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা থেকে ৫৫ জনের একটি বহরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুন্দরবনের সান্নিধ্য পেতে ভ্রমণে এসেছিলেন আলমগীর কবির, ভ্রমণ শেষে এজেড নিউজ বিডিকে জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম ও সুন্দরবন ভ্রমণ করেছি। ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শিশুরা খুব মজা করেছে। শীতের সময়ে সুন্দরবনে ঘুরার চেয়ে আদর্শ স্থান আর হতে পারে না।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা এ কে আব্দুল মান্নান জানান, সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। করোনার আগে তাদের পরিকল্পনা ছিল সুন্দরবনে আসার তবে আসা হয়নি। পরিবার বন্ধু এবং অন্যান্য স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তারা। সুন্দরবনে প্রবেশ করতে তাদের কোন প্রকার হয়রানি স্বীকার হতে হয়নি।

সুন্দরবনে ঘুরতে আসা অপর দর্শনার্থী রবিউল ইসলাম জানান, যশোরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৯০ জনের বাহর নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন তারা। সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ ও অন্যান্য জীবজন্তুদের দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। বানর হরিণ কুমির সহ অন্যান্য প্রজাতির জীবজন্তু দেখেছেন তারা। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক বেশী পর্যটনমুখী হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখানকার টলারগুলোর ভাড়া অনেক বেশি। কয়েকটি সিন্ডিকেট দ্বারা তলা গুলো নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়।

পৃথিবী খ্যাত সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছেন সুন্দরবনে। সবুজের স্বর্গ উপভোগ করতে সাপ্তাহিক ছুটিকে কাজে লাগিয়েছেন অনেকেই।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকেই ঢাকা থেকে সহজেই সাতক্ষীরা এসে চলে যাচ্ছেন সুন্দরবনে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা পরিবার–পরিজন নিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন সুন্দরবনের নদীতে। হরিণ ও বানরের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আকর্ষণ করছে পর্যটকদের।

সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজমের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি দর্শানার্থী এই ইকো ট্যুরিজমের প্রবেশ করছেন। যেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। করোনাকালীন সময়ে দুই বছর পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় এ বছর তুলনামূলক অনেক বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২ মাস পর্যটকদের আনাগোনা এভাবেই বাড়তে থাকবে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন কলাগাছি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের ফরেস্টার আসাদুর রহমান বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-১৫০০ দর্শনার্থী সুন্দরবনের কলাগাছি রেঞ্জ দিয়ে প্রবেশ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মার্চ পর্যন্ত এমন ভাবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সুন্দরবনের সান্নিধ্য পেতে সাতক্ষীরায় হাজারো পর্যটক

সুন্দরবনের সান্নিধ্য পেতে সাতক্ষীরায় হাজারো পর্যটক
ছবি: প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা থেকে ৫৫ জনের একটি বহরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুন্দরবনের সান্নিধ্য পেতে ভ্রমণে এসেছিলেন আলমগীর কবির, ভ্রমণ শেষে এজেড নিউজ বিডিকে জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম ও সুন্দরবন ভ্রমণ করেছি। ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শিশুরা খুব মজা করেছে। শীতের সময়ে সুন্দরবনে ঘুরার চেয়ে আদর্শ স্থান আর হতে পারে না।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা এ কে আব্দুল মান্নান জানান, সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। করোনার আগে তাদের পরিকল্পনা ছিল সুন্দরবনে আসার তবে আসা হয়নি। পরিবার বন্ধু এবং অন্যান্য স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তারা। সুন্দরবনে প্রবেশ করতে তাদের কোন প্রকার হয়রানি স্বীকার হতে হয়নি।

সুন্দরবনে ঘুরতে আসা অপর দর্শনার্থী রবিউল ইসলাম জানান, যশোরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৯০ জনের বাহর নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন তারা। সুন্দরবনের নান্দনিক পরিবেশ ও অন্যান্য জীবজন্তুদের দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। বানর হরিণ কুমির সহ অন্যান্য প্রজাতির জীবজন্তু দেখেছেন তারা। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক বেশী পর্যটনমুখী হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখানকার টলারগুলোর ভাড়া অনেক বেশি। কয়েকটি সিন্ডিকেট দ্বারা তলা গুলো নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়।

পৃথিবী খ্যাত সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছেন সুন্দরবনে। সবুজের স্বর্গ উপভোগ করতে সাপ্তাহিক ছুটিকে কাজে লাগিয়েছেন অনেকেই।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকেই ঢাকা থেকে সহজেই সাতক্ষীরা এসে চলে যাচ্ছেন সুন্দরবনে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা পরিবার–পরিজন নিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন সুন্দরবনের নদীতে। হরিণ ও বানরের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আকর্ষণ করছে পর্যটকদের।

সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজমের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি দর্শানার্থী এই ইকো ট্যুরিজমের প্রবেশ করছেন। যেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। করোনাকালীন সময়ে দুই বছর পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় এ বছর তুলনামূলক অনেক বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২ মাস পর্যটকদের আনাগোনা এভাবেই বাড়তে থাকবে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন কলাগাছি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের ফরেস্টার আসাদুর রহমান বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার ও শনিবার পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-১৫০০ দর্শনার্থী সুন্দরবনের কলাগাছি রেঞ্জ দিয়ে প্রবেশ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মার্চ পর্যন্ত এমন ভাবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত