বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের আরও ৪৬ সীমান্তরক্ষী

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের আরও ৪৬ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৪৬ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ২৬০ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতা দখলে নিতে সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘাতে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিচ্ছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।

স্থানীয়দের দাবি, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলেও রাতে আরও ৪৬ জন আশ্রয় নেন। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে আরও ৪৬ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় আশ্রয় নেওয়া মোট ২৬০ জন বিজিপি সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলে রাখা হয়েছে।

২০২৩ সালের শেষ কয়েক মাসে আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করে। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

এর মধ্যে তারা কোনো কোনো সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে এ বছরের ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যরা। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে বিজিপির ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর থেকে অব্যাহতভাবেই মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো হলো- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের আরও ৪৬ সীমান্তরক্ষী

বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের আরও ৪৬ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৪৬ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ২৬০ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষমতা দখলে নিতে সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার রাতেও সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘাতে আরাকান বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিচ্ছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা।

স্থানীয়দের দাবি, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলেও রাতে আরও ৪৬ জন আশ্রয় নেন। তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে আরও ৪৬ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক দফায় আশ্রয় নেওয়া মোট ২৬০ জন বিজিপি সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলে রাখা হয়েছে।

২০২৩ সালের শেষ কয়েক মাসে আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করে। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

এর মধ্যে তারা কোনো কোনো সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে এ বছরের ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যরা। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে বিজিপির ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর থেকে অব্যাহতভাবেই মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো হলো- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত