ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে বরগুনায় দু’টি উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক পেয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেন সদর উপজেলার ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আবদুল হাই আল হাদী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।
নির্বাচনীয় আচরণবিধি অনুযায়ী কোন প্রকার মিছিল, শোডাউন দেওয়া যাবে না। কিন্তু নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা বের হয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে মিছিল দিয়ে বরগুনা পৌর শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ‘আনারস’ প্রতীকের মনিরুল ইসলাম, ‘মোটর সাইকেল’ প্রতীকের সাহ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ, দোয়াত কলম প্রতীকের অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম, ‘ঘোড়া’ প্রতীকের মো. এনামুল হক শাহীন।
এতে অন্য প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, আমার সমর্থকরা নির্বাচনীয় বিধি না জেনে মিছিল দেওয়া শুরু করেছিল। পরবর্তীতে আমি এসে মিছিল বন্ধ করে দিয়েছি।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরান হোসেন (রাসেল) বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই অন্য প্রার্থীদের মতো নির্বাচন অফিস থেকে নেমে মিছিল শোডাউন করিনি। তবে আমি নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত। কারণ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধুরা নির্বাচন অফিসের সামনেই মিছিল করে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমার অনুরোধ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য নির্বাচনি আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করবেন।
বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই আল হাদী বলেন, আজ দু’টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম দিনেই আচরণবিধি ভঙ্গ করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন অংশ নিয়েছেন।
বেতাগীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজ দুপুর ২টা থেকে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন প্রার্থীরা। আগামি ২১ মে ভোটের আয়োজন করা হবে।